রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারের প্রাণবৈচিত্র্যের সুরক্ষায় বালিয়াড়ি সুরক্ষা বেষ্টনী উদ্বোধনী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপডেট: বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

কক্সবাজারের ভাঙ্গন ও লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যের সুরক্ষার জন্য ডেইল বা বালিয়াড়ির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নানা ক্ষতিকর কাজকর্ম ও অযত্ন-অবহেলায় জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের উঁচু উঁচু সব ডেইল (বালিয়াড়ি) ধ্বংস হয়ে গেছে বা যাওয়ার পথে। যার পরিণতিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কক্সবাজারে জোয়ারে প্লাবিত এলাকা ও সামুদ্রিক ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উপকূলীয় জনসম্পত্তি, প্রতিবেশ-প্রাণবৈচিত্র্য ও পর্যটন দীর্ঘমেয়াদী হুমকির মুখে পড়েছে।
উপরিউক্ত পটভূমিতে দীর্ঘমেয়াদে ডেইল ও সৈকতের প্রতিবেশগত পুনরুদ্ধার ও সুরক্ষার মাধ্যমে ভাঙ্গন, লবণাক্ততা, ও প্রতিবেশগত-সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য কক্সবাজারে, ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অর্থায়নে, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা এ্যালায়েন্স ফর কো- অপারেশন এন্ড লিগাল এইড বাংলাদেশ (একলাব) এবং সাগর সেবা’র উদ্যোগে একটি ‘উপকূল সুরক্ষা কর্মসূচি’ পরিচালিত হচ্ছে।

একলাব ইতোমধ্যে এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় উখিয়া উপজেলার বাইলাখালীতে একটি নার্সারি তৈরি করেছে। পাশাপাশি, রামু উপজেলার দরিয়ানগর ও পেচার দ্বীপ, উখিয়া উপজেলার বাইলাখালী ও টেকনাফ উপজেলার জাহাজ পুরা সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার ছয় (০৬) টি স্থানে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া ডেইলকে রক্ষার উদ্দেশ্যে ডেইল সুরক্ষা বেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও করে, বনায়নের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আগামী বর্ষার মৌসুমের শুরুতেই এইসব স্থানে সাগরলতা, হারগোজা, নিশিন্দা ও আকন্দ প্রজাতির প্রায় ৯০ হাজার চারা রোপণ করা হবে।

এরই ধারাবাহিকতায়, আজকে হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্টের সামনে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া ডেইল, সুরক্ষা বেষ্টনী দিয়ে ঘেরাও করে এই কাজের সূচনা করা হয়। কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো: নাসিম আহমেদ সকাল ১০ টায় কলাতলী সৈকতে ডেইল সংরক্ষিত এলাকায় একটি নিশিন্দা গাছের চারা লাগিয়ে এই কাজের উদ্বোধন করেন।

এসময় তিনি বলেন, “বিভিন্ন কারণে কক্সবাজার জেলা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। তাই উপকূল রক্ষার্থে এবং পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব তৈরির জন্য একলাব তাঁদের নার্সারিতে প্রায় ৫৬,০০০ বালিয়াড়ি বান্ধব গাছের চারা তৈরি করেছে। তাঁরা এইসব দেশীয়, বালিয়াড়ি বান্ধব গাছের চারা রোপণ করে বালিয়াড়ি সংরক্ষণের চেষ্টা করছে।”

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আবু সাঈদ শরীফ , সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার অফিস, বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফি বিভাগ, বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও মো. তানভীর শরিফ, সহ পরিচালক, কক্সবাজার প্রোগ্রাম, একলাব।


আরো খবর: