শিরোনাম ::
টেকনাফে মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণের ঘটনায় মূলহোতাসহ পাঁচজন গ্রেফতার,উদ্ধার শিক্ষার্থী টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে চাঞ্চল্যকর রফিক হত্যা মামলার আসামী ও আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার উখিয়ার অপরাজিত জনপ্রতিনিধি জাহাঙ্গীর চৌধুরী’র স্বেচ্ছায় পদত্যাগ! ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি অস্ত্রসহ গ্রেফতার চট্টগ্রাম থেকে ‘কক্সবাজার স্পেশাল’ ট্রেন চলবে ২০ মে পর্যন্ত, থামবে ৭ স্টেশনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পেকুয়ার যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা চকরিয়ায় সাবেক এমপির লোকজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের উপর হামলা, মোবাইল লুটের অভিযোগ ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচন থেকে ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ‘হ্যারি পটারের স্কুলে’ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫ শাহরুখের ‘পাঠান মা’ আমার বড় বোন
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের ৮১.৫৮ শতাংশ রোহিঙ্গা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমাগত। জেলায় আক্রান্তে মোট ডেঙ্গু রোগীর ৮১ দশমিক ৫৮ শতাংশই রোহিঙ্গা।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেয়া এক তথ্য বিবরণীতে বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্য বিবরণী মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় মোট ১৩ হাজার ৭৩৭ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। যেখানে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের মধ্যে ১১ হাজার ২০৭ জনই রোহিঙ্গা। অপর ২ হাজার ৫২২ জন বাংলাদেশী নাগরিক।

শুধ মাত্র গত ৭ দিনে জেলায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২৭৬ জন। যার মধ্যে নতুন রোহিঙ্গা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ জন।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সাল জানিয়েছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত বিবেচনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তার আশে-পাশের এলাকা ক্রমাগত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১, ১ (পশ্চিম), ১ (পূর্ব), ৩, ৪, ৯, ১৭ নম্বর ক্যাম্পে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত পাওয়া গেছে ৩ নম্বর ক্যাম্পে।

কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা মো. আর. হক ভূঁইঞা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘনবসতি, পরিচ্ছন্ন নালা, যেখানে সেখানে পানি জমে থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবে মশার প্রজনন থাকে। যেখানে আগে থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। তবে বৃষ্টি কমে যাচ্ছে। ফলে ডেঙ্গু আক্রান্তও কমে যাবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কক্সবাজারে মোট ১৯ হাজার ২৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬৩৬ জন রোহিঙ্গা ও ৩ হাজার ৫৮৫ জন স্থানীয়। এই এক বছরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ২৬ জন ও স্থানীয় ১৩ জন।


আরো খবর: