শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

৬নং জেটি ঘাটের তিন রাস্তার মোড়ে রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণ!

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক::

শহরের ৬নং জেটি ঘাটের তিন রাস্তার মোড়ে রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে। সরকারি রাস্তা দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী নারী নেত্রী দোকান নির্মাণের কারনে সকলের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে কৌশলে বাসার জায়গা তৈরি করে সর্বশেষ রাতারাতি দোকান নির্মাণ করে নিয়েছেন তিনি।

ফলে যে কোন বিশেষ দিনে মহেশখালী-কক্সবাজার শহর ও কুতুবদিয়া যাতায়তকারিদের চরম ভোগান্তিসহ প্রতিনিয়ত ওই স্থানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। পাশাপাশি এই নারী নেত্রী রাস্তা দখল করে পার পেয়ে গেলে সকলের মাঝে দখল কার্যক্রমের প্রতিযোগিতা চলবে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। যেকারনে রাস্তার জায়গা রাস্তায় ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাশবর্তী ব্যবসায়িরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬নং জেটিঘাট যেতে তিন রাস্তার মোড়ের দীর্ঘদিনের চলাচলের রাস্তার কিছু অংশ রাতারাতি দখল করে নিয়েছেন স্থানীয় আয়েশা সিরাজ। দখলের দক্ষিন পাশের্^ আয়েশা সিরাজের বোনের বসতবাড়ির গেইট দেখলে সাদা চোখে বুঝা যাবে রাস্তার কতটুকু জমি তিনি রাতারাতি দখল করে দোকান নির্মাণ করেছেন। এই দখলের কারনে রাস্তার প্রস্থ যেমন ছোট হয়ে এসেছে তেমনি মহেশখালী-কুতুবদিয়া থেকে আসা লোকজনের জন্য অপেক্ষামান বিভিন্ন যানবাহন পার্কিংয়েও চরম বেকাদায় পড়েছে।

স্থানীয় প্রবীন মুরব্বি ও দিনমজুর কাশেম আলী জানান, প্রশাসনের নজরধারির অভাবে রাস্তার ন্যায় প্রতিদিন বাঁকখালীর তীরও দখলের হিড়িক পড়েছে। প্রশাসন যদি একটু কঠোর হতো তাহলে রাতারাতি আয়েশা সিরাজ রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণ করতে পারতোনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ি বলেন, বর্তমানে আয়েশা সিরাজ যে স্থানে দোকান নির্মাণ করতেছে তা সম্পূর্ণ রাস্তার জায়গা। সে কৌশলে প্রথমে দুই ফুট দেয়াল দিয়ে বসার স্থান বানায়। পরে ওই দেয়াল একটু পুরাতন হয়ে গেলে পুরাতন দেয়ালের উপর একেবারে পাকাপুক্ত করে দোকান নির্মাণ করে। ওই সময় স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে সরিয়ে ফেলার কথা বলে। পাশাপাশি সবাই বসার জন্য বানিয়েছি বলে দাবী করে।
রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের ব্যাপারে জানতে চাইলে আয়েশা সিরাজ জানান, আমি রাস্তার উপর দোকান নির্মান করছি না। বরং রাস্তা নির্মানের সময় মেয়র আমার জায়গা নিছে। এটা আমার বাবার খতিয়ানভুক্ত জমি। পরক্ষনে তিনি ফোন করে বলেন, এই জমি যে আমার তা মুজিব চেয়ারম্যান জানে। এসব লিজের জমি।

২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে দেখতেছি। রাস্তার জায়গায় দোকান নির্মান করতে দেয়া হবে না।

রাতারাতি রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের ব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া বলেন, রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের বিষয়টি আরো কয়েকজন আমাকে অবগত করেছে। আমি সদর এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি বিশেষ ব্যস্ততা না থাকলে নিজে গিয়ে দ্রæত ব্যবস্থা নেব। রাস্তা দখল করে যে হউক না কেন কোন স্থাপনা করতে দেয়া হবেনা।


আরো খবর: