নিজস্ব প্রতিনিধি,চকরিয়া::
১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পর মহান বিজয় দিবসের মাসে একটি নতুন শহীদ মিনার পেয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর কতৃক ২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক সহায়তা শ্লিপ ফান্ডের বরাদ্দে বিদ্যালয় মাঠে নতুন শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্যালয়ের
নবনির্মিত শহীদ মিনার ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলার নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম।
কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি সাংবাদিক এম জিয়াবুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জিএম রুকুনউদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম নুরুস শফি, ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিফুল মোস্তফা রাজিফ, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সহসম্পাদক মোজাম্মেল হক, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহরিয়ার আওরঙ্গজেব চৌধুরী তারেক, সহকারী শিক্ষক সুচিত্রা চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক পারভীন আক্তার, সহকারী শিক্ষক জেসমিন আক্তার, সহকারী শিক্ষক মিশোরী জন্নাত মিশু, চকরিয়া পৌরসভা ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মানিক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কার্যালয়ের সহকারী সৈয়দ আকবর, বিদ্যালয়ৃ পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি আসমাউল হুসনা, কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন প্রমুখ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহরিয়ার আওরঙ্গজেব চৌধুরী তারেক বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে নিজস্ব শহীদ মিনার না থাকায় এতদিন জাতীয় দিবসগুলোতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দুই কিলোমিটার হেঁটে নিয়ে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে হতো।
এতদিন পর নিজের বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মিত হওয়ায় শিক্ষক শিক্ষার্থী সবাই দুর্ভোগমুক্ত পরিবেশে জাতীয় দিবসগুলো পালন করতে পারবে। বিনম্রচিত্রে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী সবাই খুশি।
কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক এম জিয়াবুল হক বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে লেখাপড়ার মানোন্নয়নের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে সরকারি সহায়তা নিয়ে বিদ্যালয়ে নতুন ভবন উপহার দিয়েছি। পুরানো ভবনকে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সাজিয়েছি। গতবছর বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্ণার উপহার দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আর্থিক নানা সংকট থাকায় সঠিক সময়ে করতে না পারলেও এবছর বিজয় দিবসের মাসে আমরা শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন শহীদ মিনার তৈরি করতে পেরেছি। মহান স্বাধীনতার স্মৃতি রোমন্থন নতুন শহীদ মিনার পেয়ে বিদ্যালয়ের ৫০ বছরের ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ##