২ লাখ ইয়াবাসহ ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু নামক এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে র্যাব। এছাড়াও পৃথক অভিযানে অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যকে আটক করার কথা জানিয়েছে র্যাব-১৫।
এসময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ইয়াবা, ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে বলে জানায় র্যাব।
সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে র্যাব। র্যাব জানিয়েছে, হ্নীলার সীমান্তবর্তী পূর্ব জাদিমুড়া এলাকায় মাদকের চালান নিয়ে অবস্থান করার খবর পেয়ে উক্ত স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু গ্রেফতার হয়। তার বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে ২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও আরেকটি পৃথক অভিযানে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রৈক্যংখালী এলাকায় একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রৈক্যংখালী এলাকার সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী আবুল কাশেম’সহ তিনজনকে গ্রেফতার এবং তাদের তল্লাশী করে ১টি বিদেশী পিস্তল ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টেকনাফের জাদিমুড়া এলাকার ইমান হোসেনের হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু (২১), হোয়াইক্যংয়ের উনছিপ্রাং এলাকার মো. হোসাইনের ছেলে আবুল কাশেম (৩৮), খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা নওশের মোড়লের ছেলে নুরুজ্জামান (২৮), খুলনা সদর উপজেলার আবুল কালামের ছেলে সাকির আহাম্মদ সাগর (২৬)।
র্যাবের দাবি, গ্রেফতারকৃত ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু জানায় যে, পার্শ্ববর্তী দেশ হতে ক্রয়কৃত মাদকের মূল্য বাবদ নগদ অর্থ প্রদান এবং কখনো কখনো হুন্ডী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতো। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আবুল কাশেম একজন সন্ত্রাসী। সে তার আধিপত্য বিস্তারের জন্য দেশী-বিদেশী অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি, চাঁদা আদায় ও পরিকল্পিত হামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। একই সাথে সে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছিল । এছাড়াও গ্রেফতারকৃত নুরুজ্জামান ও সাকির আহাম্মদ সাগর দু’জনই অস্ত্র ব্যবসায়ী। তারা খুলনা থেকে দেশী, বিদেশী অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে কক্সবাজারের হোয়াইক্যং এর উনচিপ্রাং এলাকায় এসে সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতো।