কক্সবাজারে নারী পর্যটক ধর্ষণের ঘটনার মূল হোতা আশিকুল ইসলাম একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রায় ১৬টি মামলা।
এছাড়া বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে কৌশলে ধর্ষণ এবং পাচারেরও অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
আশিকের প্রতারণার শিকার এক নারী বলেন, চাকরির খোঁজ করতে গিয়ে আশিকের সঙ্গে পরিচয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ঘুরতে গিয়ে আশিক ও তার এক বন্ধুর দ্বারা ধর্ষণের শিকার হই। আমাকে হুমকি দেয় যাতে এ কথা কাউকে না বলি।
তিনি আরও বলেন, আশিক বিভিন্ন সময় যৌনকর্মীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করে পুরুষের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে পারেন না।
পুলিশ জানায়, ছিনতাই মামলায় কয়েক মাস আগে আশিক গ্রেপ্তার হয়। কয়েক দিন আগে সে কারাগার থেকে মুক্তি পায়।
ধর্ষণের দায়ের অভিযুক্ত আশিকুলের ফেসবুক স্ট্যাটাস
উল্লেখ্য, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজারে গণধর্ষণের শিকার হন এক নারী পর্যটক। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে ৩ জনকে শনাক্ত করা হয়। ওই তিনজনের একজন আশিকুল ইসলাম। এছাড়া ‘জিয়া গেস্ট ইন’ হোটেলের ম্যানেজার ছোটনকে আটক করা হয়। এ মামলার তদন্ত করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।