শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

১৫ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪


ঢাকা, ১৮ অক্টোবর – অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শনিবার ফের সংলাপে বসছেন। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বেলা ৩টা থেকে এই সংলাপ শুরু হবে।

এতে আমন্ত্রণ পাওয়া দল বা জোটের একাধিক নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে নানা বিষয়ে কথা বলবেন তারা। তবে তাদের মূল ফোকাস থাকবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কার এবং নির্বাচনি রোডম্যাপ। এ ইস্যুতে তারা সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাব দেবেন।

এ ছাড়াও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রশাসনে আওয়ামী লীগের দোসরদের সরানো, গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন।

৫ অক্টোবর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বাকি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে শনিবার সংলাপ করবেন তিনি। এদিন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, জাতীয় পার্টি-বিজেপি (পার্থ), ১২ দলীয় জোট, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টিসহ আরও কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এটি হবে চতুর্থ দফা সংলাপ।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, দেশের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলব। নির্বাচন কমিশন, হত্যার বিচার, দুর্নীতি, নির্বাচন ও সংস্কারসহ নানা বিষয়ে কথা বলব।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, নির্বাচনি রোডম্যাপের কথা বলব। কারণ নির্বাচন করাই হচ্ছে প্রধান কাজ। আমাদের তো জানতে হবে সঠিক সময়টা। যদিও আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বৃহস্পতিবার বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। আমরাও সেটা চাই। আমরা চাই, ২৫-এর শেষার্ধে যাওয়ার আগেই যেন নির্বাচনটা হয়ে যায়। নির্বাচন ও সংস্কারের বিষয়ে আমাদের অবস্থান থাকবে। সংস্কার একটি চলমান বিষয়। সব বিষয়ে সংস্কার করতে চাইলে তা অনেক বেশি রকমের বিতর্ক সৃষ্টি করবে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, আমলাতন্ত্রকে নিরপেক্ষ করা ও পুলিশ প্রশাসনকে আরও দক্ষ ও নিরপেক্ষ করা- এসব কাজের বিষয়ে উনাদের মনোযোগ যেন বেশি থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানাব অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও গতিশীল ও দৃশ্যমান করা, সরকারের পরিধি বাড়ানো। জনদুর্ভোগ লাঘব করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। প্রশাসনের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের দোসর আছে তাদের সরিয়ে দক্ষ ও কর্মঠ লোক নিয়োগ করা- এগুলো বলব। তারপর উপদেষ্টামণ্ডলী নিজ নিজ দায়িত্ব যেন আরও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন। কারণ ইতোমধ্যে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেসব বিষয়ও তুলে ধরব।

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, মূল বক্তব্য থাকবে রোডম্যাপের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, আওয়ামী দোসরদের প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও পুলিশ থেকে বাদ দিতে হবে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট শপথ নেওয়ার পর কয়েকদিনের মাথায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের কথা জানান। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলে কমিশনগুলো কাজ শুরু করে।

সূত্র: যুগান্তর
আইএ/ ১৮ অক্টোবর ২০২৪



আরো খবর: