শিরোনাম ::
কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলবে বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে অপহরণ ও ধর্ষন মামলায় পিতাসহ ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন চকরিয়ার দায়িত্ববার নিয়েছেন নবাগত ইউএনও আতিকুর রহমান, বিদায়ী ইউএনও কক্সবাজারস্থ শরনার্থী কমিশনে চকরিয়ায় সুরাজপুরে সড়কের উপর বন্যহাতির আক্রমণে দুই পথচারী আহত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম-এনরুট কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন, চাকরিতে পূর্ণবহালসহ চার দফা দাবি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করবেন বাইডেন ও ম্যাক্রোঁ আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার যে কারণে গ্রেফতার হলেন ইসকন নেতা প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ আদানি ইস্যুতে পার্লামেন্টে তুমুল হট্টগোল স্বামী-সন্তানসহ সাবেক এমপি হেনরীর দেশত্যাগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

হেনরি কিসিঞ্জার সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩
হেনরি কিসিঞ্জার সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা তথ্য


ওয়াশিংটন, ৩০ নভেম্বর – যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ১০০ বছর বয়সে মারা গেছেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। তিনি একদিকে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী, অন্যদিকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবেও আখ্যায়িত।

চলুন জেনে নেয়া যাক বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে আখ্যা দেয়া সাবেক এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে কিছু তথ্য:

১. ১৯২৩ সালের ২৭ মে জার্মানির বাভারিয়ান অঞ্চলের শহর ফুর্থে হেইঞ্জ আলফ্রেড কিসিঞ্জার জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৮ সালে তার পরিবার নাৎসি শাসন আমলে জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আসে। এখানেই তার বেড়ে উঠা। এরপর ১৯৪৩ সালে তিনি মার্কিন নাগরিক হন। আর মার্কিন সেনাবাহিনীতে এবং পরে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কর্পসে তিন বছর চাকরি করেন।

২. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কিসিঞ্জার মার্কিন সেনাবাহিনীর ৮৪ তম পদাতিক ডিভিশনের সদস্য হিসেবে স্বদেশে ফিরে যান। তিনি গোয়েন্দা অপারেশনে অনুবাদক হিসেবে কাজ করতেন এবং গেস্টাপো সদস্যদের গ্রেফতারে সহায়তা করতেন। তাকে ব্রোঞ্জ তারকা অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

৩. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শেষে, কিসিঞ্জার ১৯৬৯ সালে রিচার্ড নিক্সনের প্রশাসনে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে যোগদান করেন ১৯৭৪ সালে নিক্সনের পদত্যাগের পরও প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের অধীনেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন তিনি।

৪. ভিয়েতনাম যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করা, সেটাকে কম্বোডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়া, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা, যুগান্তকারী মার্কিন-সোভিয়েত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনা এবং ইসরাইল ও আরবের সম্পর্ক প্রসারিত করাসহ ১৯৭০ এর দশকের বহু যুগ-পরিবর্তনকারী বৈশ্বিক ঘটনাতে কিসিঞ্জারের হাত ছিল। এমনকি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধেও বিতর্কিত অবস্থান ছিল তার।

৫. ১৯৭৩ সালে উত্তর ভিয়েতনামের লে ডুক থো’র সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান কিসিঞ্জার; যা ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত। প্যারিস শান্তি আলোচনায় মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার, যুদ্ধবিরতি এবং দক্ষিণ ভিয়েতনামের সরকারের সংরক্ষণের ব্যবস্থার জন্য তাদের নোবেল পুরস্কারজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। তাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার দেয়ার জন্য সেসময় নোবেল কমিটির দুইজন সদস্য পদত্যাগ করেন। পরে অবশ্য থো এই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

৬. কিসিঞ্জারকে বিভিন্ন সময় অভিনেত্রী ক্যান্ডিস বার্গেন, শার্লি ম্যাকলাইন, জিল সেন্ট জন, মারলো থমাস, লিভ উলম্যান এবং সামান্থা এগারের সাথে দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও তাকে তৎকালীন হোয়াইট হাউসের কর্মী ও বর্তমান এবিসি নিউজের অ্যাঙ্কর ডায়ান সোয়ারের সঙ্গেও অসংখ্যবার দেখা গেছে। যার ফলে বেশিরভাগ মিডিয়ায় তার ‘প্লেবয়’ ইমেজ প্রকাশ পেয়েছে।

৭. কিসিঞ্জার সবশেষ ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্ট প্রশাসনে ছিলেন কিন্তু তিনি জর্জ ডব্লিউ বুশের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিসিঞ্জারকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার তদন্ত কমিশন প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু তিনি তার পরামর্শদাতা সংস্থার ক্লায়েন্টদের নাম প্রকাশ করতে চাননি বলে সেসময় পদত্যাগ করেন।

৯. আর্জেন্টাইন সামরিক বাহিনী বিশ্বাস করে, কিসিঞ্জার তাদের বামপন্থী ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে তাদের ‘ঘৃণ্য যুদ্ধ’ পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য প্রকাশিত নথিতে তাই দেখা গেছে। তিনি সে সময় ১৯৭৬ সালের অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীকে উৎসাহিত করেন এবং পরে ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ নিশ্চিহ্ন করার জন্য তাদের প্রশংসা করেছিলেন।

১০. সঙ্গীত বিশেষজ্ঞ টম লেহরার কিসিঞ্জারের উদ্দেশে বলেন, ‘হেনরি কিসিঞ্জার যখন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান তখন রাজনৈতিক স্যাটায়ারও বাতিল হয়ে যায়।’

সূত্র: সময় টিভি
আইএ/ ৩০ নভেম্বর ২০২৩





আরো খবর: