বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

হত্যাচেষ্টা মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে অব্যাহতি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪


ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর – সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে হামলা ও হত্যাচেষ্টার মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে অব্যাহতির এ আদেশ দেন।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত খন্দকার মাহবুব হোসেন, বিএনপির স্বনির্ভ বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খান, সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আ. কাইয়ুম ও বিএনপির সহ-পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু।

খালেদা জিয়াসহ কোনো আসামির বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সাক্ষী খুঁজে না পেয়ে গত ১৩ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুস ছোবহান আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াসহ ২৬ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে সুপারিশ করেছেন।

মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ডাকা মিছিলে অনেক লোক ছিল। তারা মিছিল করে বেলা ১২ টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলশান ২ নম্বর গোল চত্বরের নিকট পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা লোকজন কয়েকটি বোমা নিক্ষেপ করে। এতে মিছিলে থাকা লোকজন আহত হয় ও মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়। আহত লোকজন ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। মিছিল চলাকালে কে বা কারা কোন দিক থেকে বোমা নিক্ষেপ করে তার কোনো প্রত্যক্ষ সাক্ষী বা কে কে বোমা নিক্ষেপ করে তা তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা বা পরে একাধিক তদন্তকারী কর্মকর্তা সনাক্ত করতে পারেনি। এ ব্যাপারে কোনো ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি নেই।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তদন্তকালে কোনো সাক্ষী এজাহারনামীয় আসামিদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য প্রদান করেননি। মামলাটি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ায় তদন্তকালে বর্তমানে ঘটনাস্থলের আশে পাশের তৎকালীন সময়ে কোনো লোকজন না থাকায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সাক্ষী পাওয়া যায়নি। এ মামলায় কোনো আসামি শনাক্ত করতে না পারায় ও বাদী এজাহারে যে তথ্যে ভিক্তিতে নাম উল্লেখ করেন তা ভুল থাকায় এবং এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকায় মামলাটি অহেতুক বিলম্ব না করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

সূত্র: আমাদের সময়
আইএ/ ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪



আরো খবর: