বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

সড়কের ওপর স্থাপনা; পেকুয়ায় এবিসি সড়কে এক বছরে হতাহত ১৫ জন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আনোয়ারা -বাঁশখালী-চকরিয়া (এবিসি) আঞ্চলিক মহাসড়কে বেড়েছে প্রাণহানি। গেল এক বছরে এবিসি সড়কে সড়ক দূর্ঘটনায় হতাহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। এরই মধ্যে টইটংয়ের হাজিবাজার পয়েন্টে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৬জন। আহত হয়েছে অন্তত আরো ৯জন। এবিসি সড়কের টইটং পয়েন্টে হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান মেলাতে গেলে এ সংখ্যার আরো বেশিও হতে পারে। এবিসি সড়ক যেন মৃত্যুফাঁদ। এ সড়কে বেড়েছে সড়ক দূর্ঘটনাসহ প্রাণহানির ঘটনা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী, পথচারী ও যানবাহনের শ্রমিকরা জানিয়েছেন, গেল এক বছরের মধ্যে এবিসি সড়কের কেবলমাত্র হাজিবাজার পয়েন্টে অন্তত ৫ থেকে ৬ বার সড়ক দূর্ঘটনা হয়েছে। এসময় এসব দূর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন হতাহত হয়েছে। হতাহতের মধ্যে নিহত ছয়জন। আহত হয়েছেন নয়জন। আহতদের মধ্যে অনেকে এখনো কঠিন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পঙ্গুত্ববরনসহ কয়েকজনের এখনো চিকিৎসা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এবিসি সড়কের জায়গার ওপর নির্মিত হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। প্রভাবশালী ভুমিদস্যুচক্র সড়কের জায়গা জবর দখল করেছে। তারা সেখানে তৈরি করছেন বহুতল ভবণসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ২০১১ সালে এবিসি সড়ক সম্প্রসারণ কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। সে সময় সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) সড়কেের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে। ১২০ ফুট সড়কটি প্রশস্থকরণের জন্য ভুমি অধিগ্রহণ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে সরকার ক্ষতিপূরণের অর্থও হস্তান্তর করেছে। তবে অধিগ্রহণকৃত সড়ক বিভাগের মালিকানাধীন এসব জায়গা ফের জবর দখল করা হচ্ছে।

সরেজমিন পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখাগেছে, আনোয়ারা-বাঁশখালী-চকরিয়া (এবিসি) আঞ্চলিক মহাসড়কের টইটং ইউনিয়নের হাজিবাজারের উত্তর পাশে নতুন করে স্থাপনা নির্মাণকাজ চলমান আছে। সড়কের উভয় পাশে নির্মিত হচ্ছে স্থাপনা। পুরাদিয়া এলাকার ফরিদুল আলমসহ কয়েকজন এবিসি সড়কের জায়গার ওপর তৈরি করছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তারা মুলত সড়কের পুর্ব পাশেই জবর দখল তৎপরতায় ব্যস্ত আছেন। সড়কের পশ্চিম পাশে একই পয়েন্টে জালিয়ার চাং এলাকার মৌলভী শাহ আলমসহ ২/৩ জন মিলে ভরাট করে ফেলেছে জায়গা। শাহ আলমের ভরাটকৃত অংশে একটি টিনের ছালার স্থাপনাও নির্মিত হয়েছে। মুলত ওই স্থাপনা সড়কের জায়গার ওপরে নির্মিত হচ্ছে। ফরিদুল আলম নামক ব্যক্তিও সম্প্রতি বহুতল ভবণ নির্মাণকাজ শুরু করেছে সড়কের জায়গা ওপর।

জানাগেছে, ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকলে হাজিবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫জন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো দুজন। ডাম্পট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখেমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফিরোজ আহমদ (৪৯), তার স্ত্রী শাহিন আকতার (২৯), তাদের ছয় মাস বয়সী সন্তান জাহেদুল ইসলাম, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক পেকুয়ার ধনিয়াকাটা এলাকার মনিরুল মান্নান (২২) ও উজানটিয়ার ক্বারী আব্দুর রহমান (৩২)।

এর দশ মাস আগে হাজিবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় বাজারের ব্যবসায়ী মাওলানা শাকের আহমদ (৬৫) মারা যান। ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকালে একই স্থানে সড়ক দর্ঘটনায় নাপপিতখালীর নুরুল আলম (৫৫), বনকাননের একজন মিশুক গাড়ি চালক গুরুতর হয়েছে।

এ ব্যাপারে হাজি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী আবদুল গফুর জানান, সড়ক দুর্ঘটনা তো বাড়ছে। সড়কের জায়গায় ওপর স্থাপনা নির্মাজকাজ বন্ধ রাখতে বললেও তারা মানতে নারাজ।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন,সড়কের জায়গা থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ইতিমধ্যে হাজিবাজারসহ যেসব স্থানে অবৈধ স্থাপনা আছে এসবের বিরুদ্ধে আমরা নোটিশ পাঠিয়েছি।


আরো খবর: