সেন্টমার্টিনে দুদিনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় দুদিনব্যাপি পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে সরকার। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এ অভিযান শুরু হয়, চলবে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত। অভিযানে অংশ নিয়েছেন ২০০ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক।
এছাড়াও, গত দুই মাসে সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সও দ্বীপে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গত দুমাসে বিপুল পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সংগ্রহ করে অপসারণ করা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রদূষণরোধে জাহাজ ঘাট থেকে ২৪১ কেজি প্লাস্টিক ও ৮৭ কেজি পলিথিন সংগ্রহ করা হয়। প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোরের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনে ১৪.৩ মেট্রিক টন এবং কক্সবাজারে ৬৭.৩ মেট্রিক টন প্লাস্টিক অপসারণ করা হয়েছে।
সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও প্লাস্টিক দূষণ কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দৈনিক সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটকের সীমা নির্ধারণ করা হয়। এ সময়ে গড়ে দৈনিক ১ হাজার ৬৯৪ জন পর্যটক দ্বীপে এসেছেন। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে কয়েকটি জাহাজকে সতর্ক করা হয় এবং দুইটি জাহাজকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
পর্যটক ও স্থানীয়দের সচেতন করতে দ্বীপে তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন ও গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। সৈকতের পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তায় বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির (বিএমসি) অধীনে ১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ৬ জন লাইফগার্ড সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে একযোগে কাজ করবে।