ইসলামবাদ, ২৭ এপিল – পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ও গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছে ইমরানের খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা শাহরিয়ার আফ্রিদি। এই বৈঠকের সঙ্গে সঙ্গে সামনে এসেছে ইমরানের মুক্তির বিষয়টিও।
তবে বৈঠকটির বিষয়ে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি শাহরিয়ার। তাছাড়া সেনাপ্রধান ও গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় ইমরান খানের মুক্তির বিষয়টি নিয়ে কথা হবে কিনা, তা নিয়েও কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জিও নিউজের এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে নিয়ে যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহরিয়ার আফ্রিদি বলেন, শিগগিরই তার দল সেনাপ্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করবে। তবে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না পিটিআই।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের কঠোর সমালোচনা করে শাহরিয়ার আফ্রিদি বলেন, বর্তমান সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সরকারকে দূর থেকে অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করে।
সংলাপ ও সমঝোতার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, দেশবাসী যাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের সঙ্গে সংলাপে বসে কোনো লাভ নেই। শাহরিয়ার এ-ও বলেছেন, আমার নেতা ইমরান খান কোনো দায়মুক্তি চান না। আমরা পাকিস্তানের উন্নতির জন্য সংলাপ চাই। ইমরান খান দেশের ভালোর জন্য সব অংশীজনের সঙ্গে বসতে চান। তবে তিনি কারও কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি।
২০২২ সালে সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে হেরে সরকার থেকে বিদায় নেন ক্রিকেটার থেকে রাজনৈতিক বনে যাওয়া ইমরান খান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন তিনি। পিটিআইয়ের দাবি, ইমরানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বছরের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
প্রায় এক বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন ইমরান খান। এই সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। মাস দুয়েক আগে দেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন হয়েছে। নতুনভাবে সরকার গঠন করে ক্ষমতায় এসেছে শাহবাজ শরিফ জোট। এত কিছু ঘটে গেলেও মুক্তি মেলেনি ইমরান খানের।
সূত্র: জাগো নিউজ