স্টকহোম, ১২ সেপ্টেম্বর – সুইডেনজুড়ে গত মাসে স্কুলে ফিরেছে শিশুরা। তবে এবার প্রযুক্তির ব্যবহার কমাতে তাদের হাতে আরও মুদ্রিত বই তুলে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। এছাড়াও তাদের হাতের লেখার অনুশীলন এবং অনলাইন গবেষণা ও টাইপ করার দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, দেশটিতে ডিজিটালাইজড পদ্ধতি শিশুদের মৌলিক দক্ষতা হ্রাস করছে কিনা এ নিয়ে রাজনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই পরিবর্তন এসেছে।
বলা হচ্ছে, ২০২১ সালে একজন চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর গড় ছিল ৫৪৪ পয়েন্ট, যা ২০১৬ সালের গড় ৫৫৫ থেকে কম। তবে তাদের পারফরম্যান্স এখনও টেস্ট স্কোরের দিকে তাইওয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে সপ্তমে রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, করোনা মহামারির ফলে শিক্ষার্থীদের কিছু ঘাটতি হতে পারে। তবে দিন দিন বাড়তে থাকা দেশটিতে অভিবাসী ছাত্ররা তাদের প্রথম ভাষা হিসেবে সুইডিশ বলতে পারে না। আর স্কুলে পাঠদানের সময় স্ক্রিনের অতিরিক্ত ব্যবহার তাদের মূল বিষয় থেকে পিছিয়ে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। যদিও ডিজিটাল সরঞ্জামগুলোর দ্রুত গ্রহণ ইউনেস্কোর উদ্বেগকেও আকর্ষণ করেছে।
গত মাসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে শিক্ষায় প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের জরুরি আহ্বান জানায় ইউনেস্কো। প্রতিবেদনে দেশগুলোকে স্কুলে ইন্টারনেট সংযোগের গতি বাড়াতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে, শিক্ষায় প্রযুক্তি এমনভাবে প্রয়োগ করা উচিত যাতে এটি কখনোই শিক্ষকের নির্দেশনাকে প্রতিস্থাপন না করে এবং সকলের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার অভিন্ন উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর
আইএ/ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩