নয়াদিল্লি, ২২ মার্চ – দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পিটানোর অভিযোগে শিক্ষককে ক্লাসের ভেতর থেকে বের করে বাইরে নিয়ে মাটিতে ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠছে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ভারতের তামিলনাডুর তুতিকোরিনের একটি সরকারি স্কুলের। খবর এনডিটিভির।
পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণের শিকার ওই শিক্ষকের নাম আর ভরত। তার বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। কেন মারা হয়েছে, এই প্রশ্ন তুলে স্কুলে হাজির হন ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা। তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষককে ক্লাস থেকে টেনে বার করার চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীর বাবা-মা। শিক্ষক কোনো রকমে হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তার পিছু পিছু গোটা স্কুল চত্বর ধাওয়া করেন সেলভা ও তার স্বামী শিবলিঙ্গম।
ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষককে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন ওই দম্পতি। তাকে ইট দিয়েও আঘাত করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা যখন ঘটছিল, আতঙ্কে কান্না শুরু করেছিল অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। শিক্ষককে মার খেতে দেখে তারই এক সহকর্মী ছুটে আসেন। কিন্তু শিক্ষককে দম্পতির হামলা থেকে বাঁচাতে না পারায় সাহায্যের জন্য চিৎকার করেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আক্রান্ত শিক্ষককে উদ্ধার করেন।
পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। তুতিকোরিনের পুলিশ সুপার এল বালাজি শরবনন বলেন, ওই দম্পতির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগেও মামলা করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই শিক্ষার্থীকে অন্য বেঞ্চে বসার জন্য বলেছিলেন শিক্ষক। কিন্তু সে কথা শুনছিল না। পাশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মারামারি করছিল। আসন বদল করার সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। কোনা শিক্ষক ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেননি বলেও জানানো হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ২২ মার্চ ২০২৩