শহিদ রুবেল::
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে‘ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর আরাকান’এর ব্যানারে রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীরা একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অনুষ্টিত হয়েছে।
২৩ নভেম্বর শনিবার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ওয়ান ডাব্লিউয়ের ফুটবল মাঠে শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতারা একত্রিত হয়ে আরাকানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতার প্রতিবাদ জানায় এবং সম্মানের সাথে নিজ দেশ আরাকানে প্রত্যাবর্তনের দাবি তুলে ধরেন।
এই বিক্ষোভে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতারা রোহিঙ্গাদের উপর চলমান নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো তুলে ধরেন।
রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, আমরা মর্যাদার সাথে আরাকানে ফিরতে চাই। আরাকানে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতার বন্ধ করতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সকল সম্প্রদায় ও পেশার মানুষের ঐকবদ্ধ হতে হবে। কারো প্রতি কোন ধরনের অসহনীয় মনোভাব রাখা যাবে না। ঐকবদ্ধ আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বসাবাস করতে পারবো। প্রয়োজনে নিজ দেশ আরাকানের শান্তির জন্য বুক পেতে দিবো। এইসময় তারা বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে শান্তি আনয়নকে উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরেন। তারা বাংলাদেশ সরকারের সহযোগীতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
বক্তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা, মর্যাদা, এবং সমতা নিশ্চিত করতে আমাদের পাশে দাঁড়ান। ন্যায়ের পক্ষে আওয়াজ তুলুন, যেন বিশ্ব কখনোই রোহিঙ্গাদের কষ্ট ভুলে না যায়।”
এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গা ছাত্র খায়ের হোসেন বলেন, “আমরা মিয়ানমারের ইতিহাসের অংশ। কিন্তু আমাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে, আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে আমাদের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং লাখো মানুষকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এখন আমরা শরণার্থী শিবিরে জীবনযাপন করছি। তবে আমরা আশা ছাড়িনি। আমরা আমাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখি।”
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী স্কুল ইউনিফর্ম সাদা শার্ট পরে উপস্থিত হন। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়ায় দুপুরে শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ শেষ হয়।’ইয়ুথ মুভমেন্ট ফর আরাকান’ একটি রোহিঙ্গা-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগ যেটি তরুণদের দ্বারা পরিচালিত হয়।
##