মস্কো, ২৫ জানুয়ারি – রাশিয়ায় ওষুধ ঘাটতির কথা স্বীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
পুতিন বলেন, মস্কো নিজেই বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদন করলেও যুদ্ধের কারণে আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে কিছু ওষুধের ঘাটতি রয়ে গেছে।
কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন আরও বলেন, গত বছরের প্রথম তিন চতুর্থাংশে ওষুধের উৎপাদন প্রায় ২২ শতাংশ বেড়েছে। তারপরও কিছু ওষুধের ঘাটতি রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাজারের ৬০ শতাংশ মেডিসিনই দেশে উৎপাদিত। তবুও কিছু ওষুধে ঘাটতি তৈরি হয়েছে এবং দাম বেড়েছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের ঘটনায় একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে রাশিয়া। তবে প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ থাকে এমন ওষুধ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে। কিন্তু দেশটির পরিবহন ও বিমাসহ অন্যান্য খাতে বিধিনিষেধের ফলে পরোক্ষভাবে এই খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে নিজেদের কাছে পর্যাপ্ত অস্ত্র আছে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ।
মঙ্গলবার অস্ত্র থাকার এ দাবি করেছে রাশিয়া। একটি কালাশনিকভ কারখানা পরিদর্শনকালে এমন দাবি করেছেন মেদভেদেভ।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের স্বল্পতার বিষয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার দাবির বিপরীতে দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, মস্কোর কাছে সব কিছুই যথেষ্ট পরিমাণে অস্ত্র রয়েছে।
তিনি বলেন, বলা হচ্ছে— আমাদের কাছে এটা নেই, ওটা নেই; কিন্তু আমি তাদের হতাশ করতে চাই। আমাদের কাছে সব কিছুই যথেষ্ট পরিমাণে আছে।
সূত্র: যুগান্তর
এম ইউ/২৫ জানুয়ারি ২০২৩