রামু প্রতিনিধি::
রামুর গর্জনিয়ায় দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দোকান ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহষ্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে গর্জনিয়া ইউনিয়নের টাইম বাজারে এ ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীকুল গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে আবদুল মাবুদ (২৭), মো. রায়হান (২৫) ও মোরশেদ আলম (২৩)।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক রামুর ক্যাজরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ওবাইদুল হক জানান- বৃহষ্পতিবার ভোরে আটককৃতদের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী পরিকল্পিতভাবে তার দোকান গৃহে আকষ্মিকভাবে ভাংচুর শুরু করে। ভাংচুরকারিরা দোকানগৃহ গুড়িয়ে দিয়ে দোকানের বিপুল পরিমান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ভাংচুর চলাকালে তিনি বিষয়টি গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অবহিত করেন। এরই প্রেক্ষিতে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফরহাদ আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বৃহষ্পতিবার ভোরে গর্জনিয়া বাজারে অবস্থান নেন। এসময় দোকান ভাংচুর করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন আবদুল মাবুদ, মো. রায়হান ও মোরশেদ আলম। তবে অন্যান্য সন্ত্রাসীরা লুটকৃত মালামাল নিয়ে অন্যত্র আত্মগোপন করায় তাদের আটক করা যায়নি।
দোকান মালিক মোহাম্মদ ওবাইদুল হক আরো জানান- তাঁর স্বত্ত¡ দখলীয় জমিতে তিনি ১৪ বছর ধরে দোকানগৃহ নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছেন। ভাংচুরে জড়িত চক্রটি সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর দোকান গৃহ রাতের আধাঁরে ভেঙ্গে জমি দখলের হুমকী দিয়ে আসছিলো। এ ঘটনায় তিনি আগেরদিন বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাতে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে সাধারণ ডায়েরী (নং ২৮৪) করেন। ওই ডায়েরীতে অভিযুক্তরা হলেন- মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ শাফি, মো. আলী ও মো. রায়হান এবং মৃত শাহাব উদ্দিনের স্ত্রী সাজেদা বেগম।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফরহাদ আলী জানান- দোকানগৃহ দখলের হুমকী দেয়ায় বুধবার ওবাইদুল হক সাধারণ ডায়েরী করেন। পরদিন দোকান ভাংচুরের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ভাংচুরে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আরো তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেযা হবে।