বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

রামুতে রাতের আঁধারে কেটে দেয়া হলো ৩০০ সুপারী গাছের চারা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২

সোয়েব সাঈদ, রামু::

রামুতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাতের আঁধারে কেটে দেয়া হয়েছে ৩০০ সুপারী গাছের চারা। বুধবার, ২০ জুলাই দিবাগত রাতে রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের উত্তর ঘোনারপাড়া বাহারকাছা এলাকায় শাহ আলমের ছেলে আবদুল গফুরের বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
জমির মালিক আবদুল গফুর পেশায় রাজমিস্ত্রী। তিনি জানান- তাঁর ক্রয়কৃত স্বত্বঃদখলীয় জমিতে প্রায় মাসখানেক পূর্বে সুপারী বাগান সৃজন করেন। প্রতিদিন সার, পানি দেয়ায় গাছগুলো স্বযত্বে বড় হচ্ছিলো। কিন্তুতার বড় ভাই দুবাই প্রবাসী আবদুর রহিমের ইন্ধনে এলাকার চিহ্নিত কয়েকজন ব্যক্তি আক্রোশের বশবর্তী হয়ে বুধবার দিবাগত রাতে পুরো বাগানের ৩০০ টি সুপারী গাছের চারা কেটে দেয়।
তিনি আরো জানান- ইতিপূর্বে তিনি নিজ ফুফুর কাছ থেকে ২৫ শতক এবং বাঁচা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪৬ শতক সহ মোট ৭৫ শতক জমি ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছিলেন। সম্প্রতি তার বড় ভাই দুবাই প্রবাসী আবদুর রহিমের ইন্ধনে একটি ভূমিগ্রাসী চক্র জমিটি জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। এরই প্রেক্ষিতে আবদুর রহিমের স্ত্রী, শাহ আলমের মেয়ে তাহেরা বেগম, আবদুল খালেকের ছেলে রাশেদ ও জাহেদের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র দেশীয় অস্ত্র, লাটি-সোটা নিয়ে মারমুখি হয়ে বাগানে প্রবেশ করে এবং ধারালো দা দিয়ে একে একে বাগানের ৩০০টি সুপারী গাছ কেটে দেয়। এতে ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বাগান মালিক আবদুল গফুর। এ ঘটনায় তিনি আইনী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
আবদুল গফুরের স্ত্রী জমিলা আকতার জানান- পুরো জমি তার স্বামীর ক্রয়কৃত। এখানে কারো মালিকানা নেই। কেউ এখানে স্বত্ত¡ও দাবি করেনি। এরপরও সম্পূর্ণ শত্রæতামূলকভাবে বাগানের বিপুল সুপারী গাছের চারা কেটে দেয়া হয়েছে। যারা এমন মির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে তারা মানুষ হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ করবে না। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
রাজারকুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন- বৃহষ্পতিবার সকালে আবদুল গফুরের পিতা শাহ আলম সুপারী গাছ কেটে দেয়ার বিষয়টি তাকে জানান। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে বিষয়টির সত্যতা পান। তিনি আরো জানান-এ জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ছিলো। তাই ধারনা করা হচ্ছে পরিবারের কারো ইন্ধনে হয়তো এ ঘটনা সংগঠিত হতে পারে। বিপুল পরিমান সুপারী গাছের চারা কেটে দেয়ার বিষয়টি দূঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।


আরো খবর: