রামুতে ধানক্ষেত থেকে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ; তার শরীরে ‘বৈদ্যুতিক শকের’ আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২ টায় রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের বড়ডেবা এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান রামু থানার ওসি মো. আনোয়ারুল হোসাইন।
নিহত মোহাম্মদ জুয়েল (১২) রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের বড়ডেবা এলাকার মো. মনিরুজ্জামান এর ছেলে।
সে খুনিয়াপালং ইউনিয়নের বড়ডেবা এলাকাস্থ ‘সিকদার পোল্ট্রি ফার্ম’ কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিল।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে আনোয়ার বলেন, মোহাম্মদ জুয়েল স্থানীয় একটি পোল্ট্রি ফার্মের কর্মচারী ছিল। বৃহস্পতিবার সে পোল্ট্রি ফার্মে অন্য কর্মচারীদের সঙ্গে রাত যাপন করেছিল।
” শুক্রবার দুপুরে সিকদার পোল্ট্রি ফার্মের পার্শ্ববতী একটি ধানক্ষেতে এক শিশুর মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে। ”
ওসি বলেন, ” নিহতের শরীরে বৈদ্যুতিক শকের মত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতটি বৈদ্যুতিক শকের নাকি অন্য কিছুর তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত করা যাবে। ”
তবে কে বা কারা, কি কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে তা পুলিশ নিশ্চিত নয় বলে জানান আনোয়ারুল।
নিহতের স্বজনদের বরাতে খুনিয়াপালংয়ের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নসরুল্লাহ রায়হান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে জুয়েল নিজের বাড়ীতেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। এক পর্যায়ে রাত ৩ টার দিকে পোল্ট্রি ফার্মের মালিক রশিদ উল্লাহ ওরফে বর্মাইয়া রশিদ এসে কাজের কথা জানিয়ে জুয়েল ডেকে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, ” রাতে জুয়েল পোল্ট্রি ফার্মেই ছিল। শুক্রবার দুপুরে স্থানীয়দের কাছে স্থানীয়দের কাছ থেকে ধানক্ষেতে তার মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর পাই। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করি। ”
ওসি আনোয়ারুল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বিকালে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জুয়েল সহকর্মি ও পোল্ট্রি ফার্মের তিন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।