ইসলামবাদ, ০৭ সেপ্টেম্বর – এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে আফগানিস্তানের কাছে ৮৯ রানের জয়ে গ্রুপ পর্বের বাঁধা পেরিয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা, ফলাফল আরও একটি বড় ব্যবধানে হার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের হার দিয়ে এশিয়া কাপ সুপার ফোর মিশন শুরু করল বাংলাদেশ।
এদিন হারিস রউফ, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদির গতির মুখে পড়ে ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ আর ৫৩ রান করেন মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান।
১৯৪ রানের সহজ টার্গেট তাড়ায় ৬৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পায় এশিয়া কাপের এবারের আসরের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। দলের জয়ে ৭৮ ও ৬৩ রান করে করেন ওপেনার ইমাম উল হক ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ দেখায় পাকিস্তানকে হারানো দলটা েএদিন পাত্তাই পেল না। ম্যাচশেষে বিপর্যয়ের কারণ জানালেন অধিনায়ক সাকিব।
বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, আমরা শুরুতেই কিছু বাজে শট খেলে উইকেট হারিয়েছি। এই ধরনের উইকেটে প্রথম দশ ওভারে আমাদের ৪ উইকেট হারানো উচিত হয়নি। তবে এটি হয়ে গেছে।
৪৭ রানে ৪ উইকেট পতনের পর সাকিব-মুশফিক ১০০ রানের জুটি গড়ে দলকে খেলায় ফেরান। সেই জুটি নিয়ে সাকিব বলেন, আমাদের পার্টনারশিপটা ভালো ছিল। আমরা জুটিতে আরও ৭-৮ ওভার খেলতে পারলে ভালো হতো। আমরা বোলিং বিভাগে ভালো করছি, তিনজন সিমার দুর্দান্ত বোলিং করেছে। দুর্ভাগ্যবশত এই ধরনের পিচে আমরা প্রত্যাশিত উইকেট শিকার করতে পারিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দলের এমন ব্যাটিংকে ‘বাজে ব্যাটিং’ বলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ম্যাচশেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা শুরুতেও কয়েকটা উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। কিছু বাজে শটও আমরা খেলেছি। এই ধরনের উইকেটে প্রথম দশ ওভারে ৪ উইকেট হারানো উচিত না। কিন্তু এটাই হয়েছে। আমাদের জুটি (সাকিব-মুশফিকের ১০০ রানের জুটি) ভালো ছিল। আমাদের আরও ৭-৮ ওভার ব্যাট করা দরকার ছিল। এই ধরনের উইকেটে এটা খবুই বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী।
তবে এমন হারের পরও অবশ্য টাইগার পেসারদের প্রশাংসা করতে ভোলেননি টাইগার অধিনায়ক। সাকিব বলেন, আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে এবং আমরা সেটাই করার চেষ্টা করব। আমাদের তিনজন পেসার দুর্দান্ত বোলিং করেছে। গত কয়েক বছর ধরে তারা ভালো বোলিং করছে। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা উইকেট তুলতে পারিনি। এটা এমন পিচ ছিল, যেখানে ব্যাটসম্যানরা ভুল না করলে আপনার উইকেট পাওয়া কঠিন।
সাকিব আরও বলেন, আমি যখন এলপিএলে খেললাম, তখন পিচগুলো স্লো ছিল। সেরকমটা যদি এখনও হয়ে থাকে তাহলে এটি আমাদের জন্য আরও ভালো। আশা করছি কলম্বোতে আমরা ভালো করব।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচে নামবে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে ফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের বিকল্প নেই।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩