সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

মিয়ানমারে সংঘাত: ভারী গোলার শব্দে টেকনাফে আতঙ্ক

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত থেমে থেমে মর্টার শেল ও গুলির বিকট শব্দ শোনা গেছে এপারে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং সীমান্তে।

দুপুরে বিকট শব্দে আতঙ্কে উঠান থেকে ভয়ে তাড়াহুড়ো করে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়েন বলে জানান টেকনাফ পৌরসভার সীমান্তে বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দুপুরে বাড়ির উঠানে বসেছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে। পরে বুঝতে পারি, এটি মিয়ানমারের গোলার শব্দ, এপারে পাওয়া যাচ্ছে। পরপর দুটি বড় বিকট শব্দ পাওয়া যায়। এতে আমার মতো আশপাশের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে আছেন।’

শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধ উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ‘দুপুরে দ্বীপে বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। পরপর দুটি শব্দ শুনেছি। তখন আমি সীমান্ত সড়কের পাশে ছিলাম। মনে হয়েছে নাফ নদ কেঁপে উঠেছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের ইউপি সদস্য মো. শাহজালাল বলেন, ‘এপারে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে মিয়ানমারের গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। আবারও কয়েকদিন ধরে সীমান্তে থেমে থেমে গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।’

এদিকে, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষের ঘটনায় টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলা মৌলভিপাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া এলাকায় সীমান্তে ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্ব দিকে মিয়ানমারের শিলখালী, নাফপুরা গ্রামে গৃহযুদ্ধ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত সীমান্তের ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ড টহল বৃদ্ধি করেছে।

রাতে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভোরে সীমান্তের ওপার মিয়ানমার থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টার শেলের শব্দ শুনতে পাই। এসব গোলার শব্দ এখন নিয়মিত ঘটনার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা, মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ চলছেই।’

হ্নীলা সীমান্তের বসবাসকারী মো. ইলিয়াস বলেন, ‘ভোর থেকে থেমে থেমে মিয়ানমারের ভারী গোলার শব্দ আমার বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে। মাঝে মধ্যে ভারী শব্দে ভয়ে ঘুম ভেঙে যায়।’


আরো খবর: