শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৪:৫১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

মিয়ানমার জান্তাকে অস্ত্র দিচ্ছে রাশিয়া-চীন-সার্বিয়া: জাতিসংঘ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তাকে যুদ্ধবিমানসহ বিভিন্ন অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে রাশিয়া, চীন ও সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক আইন প্রণেতা ও বর্তমানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগের বিশেষজ্ঞ থমাস অ্যান্ড্রুজ এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ করেছেন।
দেশটিতে সহিংসতা বন্ধে এই তিন দেশকে মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ না করারও আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন মিয়ানমারে সহিংসতা বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছেন থমাস অ্যান্ড্রুজ। সেখানে তিনি বলেন, যারা (মিয়ানমার জান্তাকে) অস্ত্র সরবরাহ করছে, তারা ভালোভাবেই জানে যে এসব অস্ত্র মিয়ানমারের সাধারণ বেসামরিক লোকজনদের হত্যার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। সুতরাং, যারা দেশের টাকায় অস্ত্র কিনে তা সাধারণ নাগরিকদের হত্যার জন্য সেই অস্ত্র ব্যবহার করে, তাদের কাছে কারোরই অস্ত্র বিক্রি করা উচিত নয়।’

গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচি ও তার দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উচ্ছেদ করে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনা বাহিনী। সেনাপ্রধান মিং অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন।

সেনা বাহিনী ক্ষমতা দখলের পরপরই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় দেশটিতে। বিক্ষোভ দমনে প্রথম দিকে লাঠি, রবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করলেও এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেয় সেনা বাহিনী।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক বছরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫০০ জন। এছাড়া দেশটির নানা প্রান্তে বিভিন্ন সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘাতের জেরে অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ।

মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও জাতিসংঘ গত কয়েকমাস ধরে অভিযোগ করে আসছে সরকারবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে উচ্ছেদের নামে সাধারণ বেসামরিক এলাকাগুলোতে বিমান হামলা ও গোলা বর্ষণ করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

জান্তা কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলেছে, দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় ‘সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে লড়ছে সেনা বাহিনী ও পুলিশ কর্মকর্তারা।

থমাস অ্যান্ড্রুজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে মিয়ানমারের জান্তাকে ড্রোন, দুই ধরনের যুদ্ধ বিমান, দুই ধরনের সাঁজোয়া যান সরবরাহ করেছে রাশিয়া; চীন সরবরাহ করেছে যুদ্ধ বিমান ও সার্বিয়া সরবরাহ করেছে রকেট ও গোলাবরুদ।

গত বছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের বিষয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল। সেই প্রস্তাবের পক্ষে সার্বিয়া ভোট দিলেও রাশিয়া ও চীন বিরত ছিল ভোট দেওয়া থেকে।

থমাস অ্যান্ড্রুজের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে সার্বিয়া, রাশিয়া ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে কোনো দেশের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


আরো খবর: