শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

মানবদেহেই পাওয়া যাবে ক্যানসারের প্রতিষেধক

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪
মানবদেহেই পাওয়া যাবে ক্যানসারের প্রতিষেধক


মরণঘাতী রোগ হিসেবে পরিচিত ক্যানসার। একদিকে চিকিৎসা ব্যয়বহুল আর অন্যদিকে অনিশ্চিত হওয়ার ফলে এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের একরকম বাঁচার আশা শেষ হয়ে যায়।

তবে এবার সামনে এসেছে নতুন তথ্য। এতে করে ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন দুয়ার খুলতে পারে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। মানবদেহে মিলবে এ রোগের প্রতিষেধক। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিটি অব হোপের গবেষকরা এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, হিউম্যান টাইপ-২ ইনন্যাট লাইমফোইড সেলস (আইএলসি২এস) নামের এই কোষটি অ্যালার্জি এবং অন্যান্য রোগের প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কোষটি করোনার সংক্রমণের জন্য দায়ী সার্স-কোভ-২ এর মতো শক্তিশালী ভাইরাসকেও আক্রমণ করতে সক্ষম। প্রথমে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে গবেষকরা এ সিদ্ধান্তে আসেন।

এর আগেও ইঁদুরের আইএলসি২এস কোষ নিয়ে হুবহু একই পরীক্ষা চালানো হলে ক্যানসার নির্মূলের ক্ষেত্রে সেটির কোনো আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি। তবে মানবদেহের আইএলসি২এস কোষ নিয়ে করা নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, কোষটি সরাসরি ক্যানসার নির্মূলে কাজ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিটি অব হোপের— হেমাটোলোজি অ্যান্ড হেমাটোপোয়েটিক সেল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বিভাগের প্রফেসর জিয়ানহুয়া ইউ এ গবেষণা সম্পর্কে বলেন, ‘নতুন আবিষ্কৃত ইমিউনো কোষ আইএলসি২ সরাসরি ক্যানসারকে নির্মূলে সক্ষম। বিশেষ করে, ব্লাড ক্যানসার এবং সোলিড টিউমার।’

তবে প্রফেসর ইউ জানিয়েছেন, আইএলসি২এস কোষটি ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর নিজস্ব কোষ থেকে নিতে হবে না। অর্থাৎ ক্যানসার রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য এই কোষ অন্য সুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার হেমাটোলোজি অ্যান্ড হেমাটোপোয়েটিক সেল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বিভাগের অপর গবেষক প্রফেসর মাইকেল ক্যালিজিউরি বলেছেন, ‘আইএলসি২এস কোষটি মানবদেহে খুবই বিরল। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফুসফুস, নাড়িভুঁড়ি এবং ত্বকে পাওয়া যায়।’

গবেষক দলটিতে ইউ এবং মাইকেল ক্যালিজিউরির পাশাপাশি ঝেনলং লি, রুই মা ও হেজুন ট্যাং কাজ করেছেন। সেইসাথে পিএইচডি গবেষক ডেভিড আর্টিস, ইমিউনোলজির প্রফেসর মাইকেল কর্স এবং জিল রবার্টস ইনস্টিটিউট ফর ইনফ্ল্যামেটরির বাওয়েল ডিজিজ ও মেডিসিন গবেষণা পরিচালক ওয়েইল কর্নেলও সম্পৃক্ত ছিলেন। গবেষণাটি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এবং লিউকেমিয়া অ্যান্ড লিম্ফোমা সোসাইটির সমর্থনে পরিচালিত হয়েছে।

আইএ





আরো খবর: