মাদরাসাছাত্র অপহরণের ঘটনায় ৫ রোহিঙ্গা গ্রেফতার
অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ- ফাইল ফটো
কক্সবাজারের টেকনাফে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় পাচঁ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা উম্মে সালমা, একই ক্যাম্পের বাসিন্দা লায়লা বেগম, কোবরা বেগম, মোহাম্মদ হাশেম এবং অটোচালক নাছির উদ্দিন (২৬)। তারা সবাই রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী এলাকার মো. আব্দুল্লাহর ছেলে। সে পূর্ব পানখালী এলাকার আবু হুরাইরা (রা.) মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, গত ৯ মার্চ দুপুরে ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরছিল ছোয়াদ। মাদরাসার কিছুটা দূরে পৌঁছালে বোরকা পরিহিত এক নারী ছোয়াদকে দুর্ঘটনায় তার মায়ের মাথা ফেটে যাওয়ার কথা জানান। হাসপাতালে মাকে দেখতে যাওয়ার কথা বলে ছোয়াদকে ঐ নারী অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় ঐদিন সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিশুর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। পরে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপহরণ ঘটনার কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশাটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়।
গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশাসহ চালক নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি মতে, গত ১২ মার্চ টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের আরো চার সদস্যকে গ্রেফতার করে।
ওসি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে উম্মে সালমা ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে বুধবার (১৩ মার্চ) আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে, জড়িত অন্যদেরও ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।