গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের, মহেশখালী::
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মহেশখালী উপজেলা শাখার অন্তর্গত ধলঘাটা ইউনিয়নের ৪ ও ৫ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলাকালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুল হাই পিপিএম এর নির্দেশে পুলিশের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা শেষে পাশ্ববর্তি বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ধলঘটায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুল হাসান,নৃরুল হক এর পুত্র কাইসার ও বাচ্চুর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান-ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইদুল আলম।
২৪ এপ্রিল রবিবার ধলঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের সম্মেলন ও কাউন্সিল ছিল। আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলাকালীন ধলঘাটার সুতরিয়া বাজারে বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, ধলঘাটার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ছেলে কাইছারের সাথে অপর সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্চুর ছোট ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এ বাকবিতণ্ডা এক পর্যায়ে সংঘর্ষের দিকে মোড নেয়। এক পর্যায়ে সম্মেলন বানচাল করতে হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসী ওই এলাকায় এসে প্রকাশ্যে গোলাগুলি শুরু করে। এ সময় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মো. ফোরকান ও রহমত আলী এবং তাদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
উভয় পক্ষই বন্দুক ও বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে অন্যপক্ষকে হালমা করে। এতে আহত হয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পদপ্রার্থী মো. ফোরকান (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ বাবু(২০)সহ আরও কয়েকজন। পরে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার উদ্যোগ নেন।
সর্বশেষ তথ্যে মতে জানা যায়, ধলঘাটার এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ মোট ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন ধলঘাটার ২নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক(৪৫), মো. ফোরকান (৫০) ও তার ছেলে মোহাম্মদ বাবুু(২০) এবং তার ছোট ভাই আবুল কাসেম (৪৫)। আহতদের কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মূলতঃ বাচ্চুর লোকজন আগ বাড়িয়ে ঘটনার সূত্রপাত করে বলে এলাকা বাসী সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়।