আঙ্কারা, ১৭ ফেব্রুয়ারি – তুরস্কে জীবিত উদ্ধারের অবিশ্বাস্য ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার দেশটির হাতায় প্রদেশের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে ১২ বছর বয়সি এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার শিশুর নাম তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তাকে একটি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
এদিকে তুরস্কের আন্তাকিয়া শহরের একটি ধ্বংসস্তূপ থেকে ২৬০ ঘণ্টার বেশি সময় পর এক ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের ১২তম দিনে শুক্রবার উদ্ধার ওই ব্যক্তির নাম মোস্তফা আভিসি। এদিন ভোরে তুরস্কে আরও অন্তত তিন ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মোস্তফা আভিসি উদ্ধার হওয়ার পরপরই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে চান। এক উদ্ধারকর্মীর কাছে মোবাইল ফোন চান তিনি। মোস্তফা আভিসি উদ্ধারকর্মীদের কাছে জানতে চান, তারা কি সবাই বেঁচে আছে। আমি তাদের কণ্ঠস্বর শুনতে চাই।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার স্পর্শ করতে যাচ্ছে। নিহতের মধ্যে তুরস্কে ৩৮ হাজার ৪৪ জন। সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮১৪ জনের বেশি। সব মিলিয়ে দেশ দুটিতে মৃতের সংখ্যা এখন ৪৩ হাজার ৮৫৮-তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার ভূমিকম্পের ১২তম দিনের শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর এ তথ্য উঠে এসেছে। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এদিন তুরস্কে অন্তত চারজনকে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু জীবিত উদ্ধার সম্ভাবনা বলতে গেলে প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এখন।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পের ৯ ঘণ্টার মাথায় ৭ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। আর তাতে দেশ দুটিতে হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বহু মানুষ। তাদের মধ্যে স্বল্পসংখ্যককেই জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩