এম.এ আজিজ রাসেল :: কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল সশস্ত্র ডাকাতদল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে মানুষের বাড়িতে হানা দেয়ার কথা। কিন্তু ডাকাতদলের সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। তাদের ডাকাতি ভেস্তে দিল কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে উল্টাখালী ফকিরের কবরের বাজারের পশ্চিম পাশে সাঁড়াশি অভিযান চালায় পুলিশ।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ডাকাত দলের সদস্যরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়।
ওই সময় ডাকাত দলের সর্দার আবদুল আজিজকে জীবনের ঝঁুকি নিয়ে ধরে ফেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান।
ডাকাত সর্দার কোন উপায় না পেয়ে পুলিশের এই চৌকষ কর্মকতার্কে অস্ত্র দিয়ে সজোরে আঘাত করে। কিন্তু তবুও ছাড় পাইনি সে।
এসময় তাঁর আরেক সহযোগী সাইফুল ইসলাম গুলি করতে চাইলে এসআই মিঠুন তাকে ধরে ফেলে। এসআই মিঠুন এসময় আহত হয়। ডাকাত দলের সর্দার গ্রেফতার হলেও অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ২টি এলজি, ১টি বন্দুক, ১৫ রাউন্ড গুলি, কিরিচ, রামদা ও ছোরা উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকালে সদর মডেল থানার হল রুমে প্রেস ব্রিফিয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুুপার (সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এরা চিহ্নিত ডাকাত। আগেও তাঁরা জেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি—ছিনতাই করেছে। তবে এবার পুলিশের জালে তাঁরা আটকে গেল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আটক দুই ডাকাতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হয়। এছাড়া পলাতক ডাকাতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।