শিরোনাম ::
সাবেক স্বামীর কবর জিয়ারতের পর মুখ খুললেন পরীমণি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর, “মিয়ানমারের বিরূদ্ধে মামলায় অগ্রগতি হচ্ছে” কুতুবদিয়ায় নৌবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার টেকনাফের ২ মাদক ব্যবসায়ীকে দশ হাজার পিস ইয়াবাসহ ঢাকায় গ্রেফতার ভুয়া কাগজে ‘ভোটার হতে গিয়ে’ ৪ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার নাফনদীতে ফেলে যাওয়া ব্যাগ থেকে আড়াই লাখ ইয়াবা উদ্ধার টেকনাফে মাছ ক্রয় করতে আসা অপহৃত দুই রোহিঙ্গা উদ্ধার, গ্রেফতার-৩ চকরিয়ায় পর্নোগ্রাফি আইনে দুইজন বিভিন্ন মামলায় ৭ আসামি গ্রেফতার চকরিয়ায় রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে ছাই বসতবাড়ি কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশী আহত, পতাকা বৈঠক
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ভারতের চেয়েও শক্তিশালী আফগানিস্তানের মুদ্রা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩
ভারতের চেয়েও শক্তিশালী আফগানিস্তানের মুদ্রা


কাবুল, ১৮ অক্টোবর – ২০২১ সালের ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে তালেবান। এরপর মার্কিন সেনা দেশটি ছেড়ে চলে যায়। তখন থেকেই আফগানিস্তানের প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করছে সংগঠনটি। তারা দেশের নাগরিকদের ওপর নানারকম নিয়মকানুন ও বাধ্যবাধকতা চাপিয়ে দেয়।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করেছে অনেক দেশ।
আফগানিস্তানের তালেবানকে সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি অধিকাংশ রাষ্ট্র। আনুষ্ঠানিকভাবে কেবল পাকিস্তান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থন পেয়েছে তালেবান সরকার।

এছাড়া চীন, রাশিয়া, ইরান, মিয়ানমার, কাতার, বেলারুস, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়ার মতো দেশ সরকারিভাবে না বললেও সংগঠনটির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভালো।

ভারতের অর্থনীতি আফগানিস্তানের চেয়ে অনেক বড়। তবে দুই দেশের মুদ্রার মূল্যে ফারাক সামান্যই। এমনকি এ ক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়েই আছে আফগানিস্তান।

শুধু ভারত নয়, আফগানিস্তানের মুদ্রা আফগানি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইরানের মুদ্রার চেয়েও শক্তিশালী।

বর্তমানে এক মার্কিন ডলার মোটামুটি ভাবে ভারতের ৮৩ রুপির সমান। সেখানে ডলারের বিপরীতে আফগানিস্তানের মুদ্রার মূল্য মাত্র ৭৫ দশমিক ৭২ আফগানি।

তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিদেশি সাহায্য হিসেবে আফগানিস্তানের ৮০০ কোটি ডলার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কীভাবে ভারতের রুপির চেয়ে এগিয়ে গেলো আফগানি? বিশেষজ্ঞেরা জানান, এর নেপথ্যে রয়েছে আফগানিস্তানের বাণিজ্যিক কাঠামো।

আফগানিস্তান এমন একটি দেশ, যেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে ফল ও অন্য জিনিসপত্র রপ্তানি করা হয়। তুলনায় খুব কম পণ্যই বাইরে থেকে কেনে তালেবান সরকার।

ক্ষমতায় আসার পর আমদানিতে চোরাচালান, দুর্নীতি কঠোরভাবে রোধ করা হয়েছে। ব্যাংকের লেনদেনের ওপরেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালেবান।

আকরিক লোহা, মার্বেল, তামা, দস্তা, সোনা এবং বেশ কিছু বিরল খনিজ পদার্থকে কাজে লাগিয়ে অর্থ রোজগার করেছে তালেবান। দেশের কর ব্যবস্থাও তাদের ভাণ্ডার পূর্ণ করেছে।

খনিই আফগানদের সম্পদের মূল ভিত্তি। দেশটিত ১৪০০-র বেশি খনি রয়েছে। কয়লা, তামা, সোনা, লোহা, সীসা, ক্রোমাইটের মতো ধাতু এখানে পাওয়া যায়।

লিথিয়াম আফগানিস্তানের কাছে তুরুপের তাস হয়ে উঠছে। কারণ এই ধাতুর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে বিপুল। লিথিয়ামের খনি থাকায় চীন আফগানিস্তানে অনেক অর্থ বিনিয়োগ করছে।

আফগানিস্তানে খনিজ তেলও মেলে। এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পাথর, সালফার, লিথিয়ামের খনি আফগানিস্তানে রয়েছে। এগুলো থেকেই দেশটির অনেক আয়।

আফগানিস্তানে বিদেশি অনুদানও কম নয়। তালেবান সরকারকে পছন্দ না করলেও দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে বহু বিদেশি সংগঠন আফগানিস্তানে অর্থসাহায্য পাঠায়। ব্যক্তিগত ভাবেও সাহায্য করেন অনেকে।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১৮ অক্টোবর ২০২৩





আরো খবর: