শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৪ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বিসিবির অভিযোগের যে জবাব দিলেন হাথুরুসিংহে

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪


ঢাকা, ১৮ অক্টোবর – অসদারচণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশের প্রধান কোচের পদ থেকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার শোকজ নোটিশ দিলেও মূলত ওইদিনই লঙ্কান কোচকে অব্যাহতি দিয়ে দেয় বোর্ড।

গতকাল বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে হাথুরুসিংহের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি জানিয়েছে। তবে শোকজ নোটিশে সাবেক কোচ কী জবাব দিয়েছিলেন, সেটি জানার আগ্রহ ছিল সবার। কিন্তু বিসিবি সেই ব্যাপারে কিছু জানায়নি।

শুক্রবার হাথুরুসিংহে নিজেই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন। তার বিবৃতিটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বিবৃতি, ২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে একজন খেলোয়াড়কে লাঞ্ছিত করা এবং অনুমতি ছাড়া বেশি ছুটি নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আমার সততা ও পেশাদারত্ব নিয়ে যে অভিযোগ করেছে, সেটা তুলে ধরতেই আমি এ চিঠি লিখছি। এই অসংগতিপূর্ণ বক্তব্যের জবাব না দিয়ে আমি পারি না। আমি বিশ্বাস করি, এর ব্যাখ্যা দেয়াটা জরুরি। এই অভিযোগগুলো ঘিরে আমার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে ঘটনাগুলো স্পষ্ট করা এবং আমার বক্তব্য উপস্থাপন করা অপরিহার্য।

প্রথমত, কথিত যে ঘটনার কথা বলা হয়েছে, সেটা যেখানে ঘটেছে, সেই ডাগআউট বা ড্রেসিংরুম বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে সব সময় নজরদারিতে থাকে। ৪০ থেকে ৫০টি ক্যামেরা ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্ত ধারণ করে। আর যদি সেখানে কিছু ঘটেই থাকে, আমি অভিযোগকারী বা কোনো সাক্ষীর সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলারও সুযোগ পাইনি।

নতুন বোর্ড সদস্যরা যখন অভিযোগ করল যে আমি অতিরিক্ত ছুটি নিয়েছি, তারা ঈদ বা শুক্রবারের মতো সরকারি ছুটিগুলো হিসাবে আনেনি। এমনকি সরকারি ছুটির সময় যে ছুটি কাটাতে পারিনি, এর কৃতিত্বও তারা আমাকে দেয়নি।

আমার জানামতে, বাংলাদেশের শ্রমিক আইন অনুযায়ী শুক্রবার কাজ করার জন্য আমার পরবর্তী সময়ে ছুটি পাওয়ার কথা। এ ছাড়া বিসিবির একজন চাকরিজীবী হিসেবে আমার শুক্রবার ছুটি পাওয়ার কথা এবং বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস ছুটি পাওয়ার কথা।

এটাও এখানে তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলার সময় বিদেশি কোচদের ছুটি পাওয়া এখানকার সাধারণ নিয়ম। এমন নয় যে এটা আমার ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম ছিল; বরং আমার মেয়াদের আগেও অনেক বিদেশি কোচের ক্ষেত্রে এটাই রীতি ছিল। যাইহোক, বিপিএলের সময় নেওয়া ছুটি বিবেচনা করা হয়নি এবং এটা আমার চুক্তি অনুযায়ী পাওনা ছুটির বাইরেই ছিল।

আমার কাছে অভিযোগগুলোকে পূর্বপরিকল্পিত মনে হচ্ছে। নতুন সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই প্রকাশ্যে প্রধান কোচকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছার কথা বলেছিলেন, তখন তিনি এর সঙ্গে বিসিবির আর্থিক সম্পর্কের বিষয়টিও উল্লেখ করেছিলেন। সঙ্গে যোগ করতে চাই, আরেকজন নতুন কোচ নিয়োগের মাত্র চার ঘণ্টা আগে কারণ দর্শানো নোটিশ পেয়ে আমি হতাশ হয়েছি। যদিও নোটিশে লেখা ছিল যে আমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় পাচ্ছি। ঘটনাগুলোর এমন ধারাবাহিকতা এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উদ্দেশ্যকে মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

আমি আমার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ বিষয়ে যেকোনো তদন্তে পূর্ণ সহায়তা করব। শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হবেই এবং যে খেলাটিকে আমি ভালোবাসি, সেটাতে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারব।

এ বিষয়ে মনোযোগ দেয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।

আন্তরিকতার সঙ্গে, চন্ডিকা হাথুরুসিংহে

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৮ অক্টোবর ২০২৪



আরো খবর: