বিশ্ব শরণার্থী দিবস আজ বুধবার (২০ জুন)। ২০০১ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় প্রতিবছর পালন করা হয় শরণার্থী দিবস।
শরণার্থীদের অধিকার ও পরিস্থিতি বিশ্বব্যাপী তুলে ধরে সচেতনতা তৈরি করাই বিশ্ব শরণার্থী দিবসের মূল লক্ষ্য।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা ইস্যুতে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা বাড়ছে, যার প্রভাবে বাড়ছে শরণার্থী কিংবা বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যাও। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি।
ইউএনএইচসিআর বলছে, উদ্বাস্তু বা শরণার্থীর সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা। শরণার্থীদের মধ্যে সিরিয়া থেকে ২৭ শতাংশ, ভেনিজুয়েলা ১৮ শতাংশ, আফগানিস্তান ১১ শতাংশ, দক্ষিণ সুদান ৯ শতাংশ এবং মিয়ানমার থেকে ৫ শতাংশ আগত। এছাড়া ৩০ শতাংশ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আগত শরণার্থী।
শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোর মধ্যে উচ্চআয়ের দেশ মাত্র ১৭ শতাংশ। এছাড়া মধ্যম আয়ের ৪০ শতাংশ, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ২১ শতাংশ এবং নিম্নআয়ের দেশ ২২ শতাংশ।
হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ।