নয়াদিল্লি, ১২ অক্টোবর – কেবল দুই ওভারে রান হয়েছে ১০–এর নিচে। বাকি ওভারগুলো সীমা ছাড়িয়েছে ইচ্ছেমতো, এর মধ্যে রিশাদ হোসেনের করা দশম ওভারেই পাঁচ ছক্কায় ৩০ রান এসেছে। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর কত ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ভারত তা বোধহয় এতক্ষণে জেনে ফেলার কথা। সঞ্জু স্যামসনের দ্রুততম সেঞ্চুরি আর অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের ফিফটিতে ভারত টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের রেকর্ড সর্বোচ্চ ২৯৭ রান সংগ্রহ করেছে।
গোয়ালিয়র ও দিল্লিতে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে পাত্তা পায়নি নাজমুল হোসেন শান্ত’র নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। আজ (শনিবার) হায়দরাবাদে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তাদের লক্ষ্য ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। তবে এদিন ভারত মেরেছে ‘ধর তক্তা মার পেরেক’ স্টাইলে। তাদের করা ২৯৭ রান যেকোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান। এতদিন ২৭৮ রান নিয়ে সেই রেকর্ড ছিল আফগানিস্তানের দখলে।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোরটি এখনও নেপালের দখলে, তারা এশিয়ান গেমসে ৩১৪ রান করেছিল মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে। সেই রেকর্ড না ভাঙতে না পারলেও, নিঃসন্দেহে ভারতের স্কোরবোর্ড আইসিসির পূর্ণ সদস্য হিসেবে ওপরেই থাকবে। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ২২৪ রান।
রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে স্মরণীয় একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ উপহার দিলো ভারত। স্যামসন-সূর্যকুমার ও হার্দিক পান্ডিয়ারা আজ সবমিলিয়ে মেরেছেন ২২টি ছক্কা ও ২৫টি চার। তাদের হয়ে ফরম্যাটটিতে ভারতের হয়ে দ্রুততম (৪০ বলে) সেঞ্চুরি করেছেন স্যামসন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৭ বলে ১১১ রান, সূর্যকুমার ৩৫ বলে ৭৫, হার্দিক পান্ডিয়া ৪৭ (১৮ বল) এবং রিয়ান পরাগ ৩৪ রান (১৩ বল) করেছেন। পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারানো ভারতের রান ছিল ৮২, এরপর ১০ ওভারে ১৫০ এবং ১৪ ওভারে ২০০ রান তোলে।
ভারতের এমন তাণ্ডবের দিনে বাংলাদেশের বোলার ও ফিল্ডারদের জন্য ভুলে যাওয়ার মতো দিন। ৫০–এর বেশি রান দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান। এর মধ্যে তানজিমের দেওয়া ৬৬ রান ফরম্যাটটিতে কোনো বাংলাদেশি বোলারের সবচেয়ে বেশি রান খরচের রেকর্ড। যদিও তিনি বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন।