বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ফেরত যাবে মিয়ানমারের ১৮০ সেনা, ফিরবে ১৭০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪

বাংলাদেশে প্রবেশ করে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৮০ জন সীমান্তরক্ষী ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকা পড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ১৭৭ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য ও পরবর্তীতে তাদের তিনজন সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

আমাদের সঙ্গে আলোচনায় মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে। তারা নৌপথের প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা এ সপ্তাহেই তাদের ফেরত পাঠাবো আশা করছিলাম, কিন্তু সমুদ্র অনুকূলে না থাকায় আগামী সপ্তাহে বা সমুদ্র শান্ত হলে সহসাই তাদের পাঠানো হবে।

পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারে নানাভাবে আটক ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সেটিতেও তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. হাছান।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ১৩ মার্চ জেনেভায় অনুষ্ঠিত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) সভায় আন্তুর্জাতিক পর্যায়ে কেমন সাড়া মিলছে- এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ডে জেআরপি সভায় আমাদের পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব যোগ দিয়েছেন এবং আমাদের প্রস্তাবিত অর্থ ও সহযোগিতায় গত বছরের তুলনায় ভালো সাড়া মিলছে।

‘বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন এবং দেশ ভিক্ষুকে পূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দুর্নীতি ও মানি-লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই পর্যন্ত এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে আর তার ছোট ভাই অর্থাৎ বেগম খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র কোকোর পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর থেকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা ক্ষমতায় থাকতে পরপর পাঁচবার দেশ বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে- এসব ঢাকতেই তাদের এতো কথা।

আর বিএনপির নেতাদের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতাও আছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব আবার মঈন খান সাহেবের মধ্যে কথা বলার প্রতিযোগিতাও এ সব অবাস্তব কথা বলার আরেক কারণ। এর মধ্যে রিজভী সাহেবের কথা এতো অশালীন ও বাস্তবতাবিবর্জিত যে মনে হয় তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীনতার চিকিৎসা প্রয়োজন। ড্যাব না পারলে স্বাচিপের ডাক্তারেরা চেষ্টা করতে পারে।


আরো খবর: