এম.এ আজিজ রাসেল :: কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন চলছিল হট ফেভারিট টেকনাফই জয় পাবে। কারণ বিগত ৫-৬ বছর ধরে তাঁরা দারুণভাবে ঘর সাজিয়েছে। এগিয়ে গেছে ঘরোয়া খেলোয়াড়েরাও। তাঁদের প্রতি আস্থা রেখে বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে মহেশখালীর বিরুদ্ধে বিদেশী খেলোয়াড় ছাড়াই মাঠে নামে টেকনাফ।
কিন্তু মাঠে বদলে যায় সকল সমীকরণ। জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে টেকনাফকে ৩-১ গোলে কাঁদিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে মহেশখালী।
প্রথমার্ধের শুরু থেকে দুদলই বল লড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠে। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণও চলে বেশ কিছু সময়। কিন্তু ম্যাচের ১০ মিনিটে মহেশখালীর ৯নং জার্সিধারী আবিদ দুর্দান্ত গোল করে দলকে এগিয়ে ১-০ গোলে এগিয়ে নেয়। এরপরের গল্পটা শুধু মহেশখালীর। ২৪ মিনিটে নাইজেরিয়ান সোলাইমান বোকা বানায় টেকনাফের ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে।
তাঁর গোলে ফলাফল দাঁড়ায় ২-০। দুই গোল হজম করে শোধ করতে মরিয়া হয়ে উঠে টেকনাফের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু মহেশখালী হয়ে খেলা ৪ বিদেশী পাল্টে দেয় সব হিসাব নিকাশ। খেলার ৪০ মিনিটে মহেশখালীর ১২ নং জার্সিধারী খোকা সহজেই গোল করে হতাশায় ডুবায় টেকনাফ শিবিরকে।
দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা জ্বলে উঠে টেকনাফের ফরোয়ার্ড ও মিডফিল্ডাররা। সমন্বিত আক্রমণ থেকে গোলের দেখা পায় তাঁরা। একমাত্র গোলটি আসে ১০নং জার্সিধারী পা থেকে। এরপর শত চেষ্টা করেও আর গোলের দেখা পায়নি টেকনাফ। তবে মহেশখালী মিস করে আরও কয়েকটি নিশ্চিত গোল। রেফারির শেষ বাঁশিতে উল্লাসে ফেটে পড়ে মহেশখালীর দর্শক, খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা।
ম্যাচ সেরা হন মহেশখালীর স্ট্রাইকার আবিদ। তাঁকে ক্রেস্ট তুলে দেন সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক।
তিনি বলেন, এমন আয়োজন অব্যাহত থাকলে তৃণমূল থেকে আরও ভাল খেলোয়াড় তৈরি হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল, মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন।
খেলা পরিচালনা করেন আবুল কাশেম, মিল্টন দত্ত, সাহাব উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম।
মহেশখালী উপজেলা ফুটবল দলঃ সাঈদী, মোস্তফা, সাহেদ, এভান্স, বাম্বা, মউনজি, আরমান, রাজিব, আবিদ, সুলেইমান, খোকা, সজিব, সুজন, মানিক, রাসেল, আলাউদ্দিন ও সাইফুল। ম্যানেজারঃ নবী হোছাইন ভুট্টো। কোচঃ শামসুল আলম রনি।
টেকনাফ উপজেলা ফুটবল দলঃ জাহাঙ্গীর, সমৃদ্ধ, রিফাত, মাঈন উদ্দিন, নুর কামাল, মেহেদী, টুফেল, শেখ আহমদ, দিদার, জাহাঙ্গীর, ইলিয়াস, রবিন, হারুন, মামুন, রানা, ইব্রাহিম ও জামাল। ম্যানেজারঃ জিয়াউর রহমান। কোচঃ ফায়সাল।