ইমরান আল মাহমুদ:
উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে উখিয়া উপজেলার ১২থেকে ১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনা প্রতিরোধক ফাইজার টিকার দ্বিতীয় প্রদান শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম চলবে আগামী ১৯ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
শনিবার(১২ফেব্রুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যায়।
দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করে পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র মো. মানিক ও আবছার বলেন,”দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে নিজেদের নিরাপদ মনে করছি। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে সচেতনমূলক দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।”
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো.বদরুল আলম বলেন,”উপজেলার ১২-১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের মাঝে ফাইজার’র টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথমদিন উৎসবমুখর পরিবেশে চারটি ভেন্যু যথাক্রমে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়,মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪হাজার ৫০জন শিক্ষার্থীদের মাঝে টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে শিক্ষার্থীদের আরও সচেতনতা অবলম্বন করে টিকা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সিডিউল অনুযায়ী ১২ থেকে ১৮ বছরের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে।
উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার(রোগ নিয়ন্ত্রণ) ও উপজেলা কোভিড ফোকাল পার্সন ডা. এহেচান উল্লাহ সিকদার জানান, শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান কার্যক্রমের প্রথমদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ চারটি টিকাদান কেন্দ্রে ১২ ফেব্রুয়ারি শনিবার মোট ৪হাজার ৫০ জন শিক্ষার্থীকে ফাইজার ২য় ডোজের ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। আগামী ১৯ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ফাইজার টিকার ২য় ডোজ প্রদান করা হবে। গত ৯ফেব্রুয়ারি বুধবার উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানগনকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে টিকাপ্রাপ্তির তারিখ এবং কেন্দ্রে শ্রেনী শিক্ষকসহ উপস্থিত থেকে টিকাদান কার্যক্রমে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে এ টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান,যেসকল শিক্ষার্থী ফাইজারের ১ম ডোজের টিকা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদেরকে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হচ্ছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
উল্লেখ্য, ২৯হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থীদের এই দফায় ফাইজারের ২য় ডোজের টিকা প্রদান করা হবে।