শিরোনাম ::
গুমের সাথে জড়িত ২০ সরকারী কর্মকর্তার পাসপোর্ট স্থগিত, দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পরিবারসহ শেখ হাসিনার দুর্নীতি অনুসন্ধানে ৫ কর্মকর্তা নিয়োগ আরো নতুন ৮০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে উখিয়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযুদ্ধা আবুল খায়েরের দাফন সম্পন্ন চকরিয়ায় ইট তৈরির মিক্সার মেশিনে পিষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু চকরিয়ায় আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার দুই পলাতক আসামি গ্রেফতার উখিয়ায় ‘সাহেদ-রিপা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু অবশেষে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেলেন কক্সবাজারের কৃতিসন্তান সাইফুল্লাহ রামুতে ট্রান্সফরমিং লাইভস থ্রো নিউট্রিশান প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা কক্সবাজার থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে ধরা
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পেকুয়ায় সড়কের জায়গায় দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় টইটং ইউনিয়নের হাজি বাজারে সড়কের জায়গা জবর দখল করে নির্মিত হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। স্থানীয় বাজার পরিচালনা কমিটি ও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) নিয়ন্ত্রনাধীন অধিগ্রহনকৃত জায়গার উপরে ভবণ নির্মাণের কাজ আরম্ভ করেছে।

এদিকে আনোয়ারা-বাঁশখালী-চকরিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের (এবিসি) জায়গার উপর স্থাপনা নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে হাজি বাজারের ব্যবসায়ীসহ পরিচালনা কমিটি সড়ক ও জনপদ বিভাগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত ৯ ডিসেম্বর সওজ বিভাগের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বরাবরে লিখিত এ অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী বরাবরেও পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার টইটংয়ের হাজি বাজারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা জবর দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। টইটং ইউনিয়নের পুরাদিয়া এলাকার আবদুল করিমের ছেলে ফরিদুল আলম এবিসি সড়কের জায়গার উপরে নির্মাণ করছেন পাকা ভবণ। সড়কের পুর্ব পাশে হাজি বাজারের উত্তর পাশে ওই ব্যক্তি গত এক সপ্তাহ আগে থেকে স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করে।

জানাগেছে, ২০১১ সালে এবিসি সম্প্রারণ কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। সে সময় সড়কটি প্রশস্ত করতে সওজ বিভাগ অধিগ্রহণ করে ভুমি। হাজি বাজার পয়েন্টে ৪৩২ নং খতিয়ান থেকে সওজ বিভাগ জমি অধিগ্রহণ করে। ফরিদুল আলম তার প্রাপ্ত অংশ অধিগ্রহণ হয়েছে। ২০১১ সালের ১২ জুলাই ফরিদুল আলম অধিগ্রহণের টাকাও বুঝে নেন।

অভিযোগ উঠেছে, অধিগ্রহণকৃত জায়গাটি ফরিদুল আলম ফের জবর দখলে মেতেছে।

এ ব্যাপারে হাজি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পল্লী চিকিৎসক আবদুল গফুর বলেন, জায়গাটি সওজ বিভাগের। আমরা পুলিশসহ গিয়ে সরকারি জায়গায় কাজ না করতে বারন করেছি। নিষেধ করতে গিয়ে উল্টো হেনস্তা হয়েছি।

এব্যাপারে জানতে স্থাপনা নির্মাণকারী ফরিদুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদকে বলতে বলুন। তারা চাইলে তো ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি মিটিংয়ে আছি। পরে কথা বলবো।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীদের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীর বিরুদ্ধে আমরা আইনগত পদক্ষেপে যাব।

###


আরো খবর: