পেকুয়া প্রতিনিধি::
কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক একর বিশ শতক লবণ চাষের জমিতে তান্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা লবণ উৎপাদনের পলিথিন কেটে দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের মাতবর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়সুত্রে জানাগেছে, মাতবর পাড়ায় এক একর সাইত্রিশ শতক জমি নিয়ে স্থানীয় মসলেম উদ্দিনের পুত্র ওসমান গনি, মৃত ইমাম উদ্দিনের পুত্র আব্দু রহিম গং ও মৃত হাফেজ আহমদের পুত্র ইউনুস গনি, মৃত ফেরদৌস আলমের পুত্র মোশাররফ হোসেন গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জমির রেকর্ড সংশোধনী নিয়ে কক্সবাজার সহকারী সিনিয়র জজ আদালতে অপর মামলা চলমান আছে। একই বিষয়ে ওই জমি নিয়ে উচ্চ আদালতেও মামলা আছে। তবে মহামান্য হাইকোর্ট ওসমান গনি গংদের অনুকূলে সিভিল মামলার দুইটি পৃথক আদেশ জারি করে। প্রথম দফায় ছয়মাস নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালত থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। রাজাখালী ইউপির গ্রাম আদালতে ৫০২/১৭ মামলা ছিল। গ্রাম আদালতের রায় ওসমান গংদের অনুকূলে যায়। চলতি মৌসুমে ওসমান গনি ও আব্দু রহিম গং লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠ প্রস্তুতিসহ লবণচাষে নামে। প্রায় দেড় মাস ধরে তারা ওই মাঠে লবণ চাষ করছিল। ঘটনার দিন গভীররাতে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা বিরোধীয় লবণমাঠে হানা দেয়। এসময় লবণ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত মাঠে বিছানো পলিথিন কেটে সাবাড় করে।
লবণচাষি ওসমান গনি বলেন, দেড় মাস আগে থেকে মাঠ প্রস্তুতি করে লবণ উৎপাদন করে আসছি। জায়গা আমাদের ভোগ দখলে। মোশাররফ হোসেন ও ইউনুস গনি গং রাতে মাঠে হানা দিয়ে প্রায় তিন কানি জমির পলিথিন কেটে দিয়েছে। প্রায় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। নতুন করে উৎপাদন কাজ শুরু করতে প্রায় মাসখানেক সময় লাগবে। কয়েক বছর ধরে লবণ উৎপাদনের সময় তারা এভাবে মাঠের পলিথিন কেটে হয়রানি করছে।
এ ব্যাপারে ইউনুস গনি বলেন, এ জমি আমাদের ভোগ দখলীয় সম্পত্তি। পেশি শক্তি দেখিয়ে জোরপুর্বক মাঠে নেমেছে ওসমান গং। আমরা এলাকায় থাকিনা। পলিথিন কেটে দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। থানায় বিচার আছে। ওসমান গনি গং গরহাজির থাকে। বিচার প্রক্রিয়া নাসাৎ করতে মুলত এটি সাজানো ঘটনা।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।