পেকুয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও খুচরা গাজা ব্যবসায়ী মিফতাহ উদ্দিন বাহিনীর অতর্কিত হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে পেকুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক আজাদীর প্রতিনিধি মোহাম্মদ ছফওয়ানুল করিম। আজ ১৫ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকালে পেকুয়া সিকদার পাড়া গ্রামের ব্রীজের উপর সাংবাদিকের হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। আহত সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম পেকুয়া সদরের সিকদার পাড়া গ্রামের মাষ্টার মুবিনুল ইসলামের পুত্র। এদিকে ঘটনার পর পরই স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান। ছফওয়ানুল করিমের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী ও আহত সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া সরকারী হাসপাতালের মাস্টার রোলে কর্মরত নৈশ প্রহরী মিফতাহ উদ্দিন কর্তৃক রোগীদের নানা হয়রানি ও দুর্ব্যবহারের বিষয়ে সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম অনুসন্ধানমুলক সংবাদ তৈরীর জন্য গত কয়েকদিন ধরে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছিলেন। এদিকে এ খবর পেয়ে আজ ১৬ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিম ও তার ছোট ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান সিকদার পাড়ার বাড়ি থেকে বের হয়ে চৌমুহনীস্থ পেকুয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আসার জন্য রওনা হলে সিকদার পাড়া ডবল ব্রীজ এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা একই এলাকার মৃত এয়ার মোহাম্মদের পুত্র ও পেকুয়া সদর হাসপাতালে মাস্টাররোলে কর্মরত নৈশপ্রহরী মিফতাব উদ্দিন ওরফে গাঁজাখুর মিফতাহ ও তার দুই পুত্রের নেতৃত্বে তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তাদের উপর দা, ছুরি ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হয় সাংবাদিক ছফওয়ান ও তার ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান। এসময় হামলাকারীরা সাংবাদিক ছফওয়ানুল করিমের সঙ্গে থাকা একটি ক্যামেরা ও তার ভাই ব্যাংক কর্মকর্তার পকেট থেকে কিছু টাকা ছিনিয়ে স্বদলবলে পালিয়ে যায়। হামলার পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আহত সাংবাদিক ছফওয়ানও তার ভাইকে উদ্ধার পেকুয়া পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন,আমরা অভিযোগ পেলে তদন্তকরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে একজন পেশাদার সাংবাদিকের উপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পেকুয়ার সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।