বার্লিন, ১৫ এপ্রিল – পারমাণবিক শক্তিতে অনেক পশ্চিমা দেশ যখন তাদের নির্গমন কমাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, তখন পারমাণবিক যুগের প্রাথমিক অবসান ঘটাচ্ছে জার্মানি৷ ইউরোপের দেশটি তাদের শেষ তিনটি পারমাণবিক চুল্লি শনিবার বন্ধ করে দিচ্ছে।
জার্মানি ২০০২ সাল থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের চেষ্টা করে আসছে। মূলত ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা বিপর্যয়ের পর দেশটির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের শাসনামলে এই প্রক্রিয়াটি গতি পায়। ২০০৩ সাল থেকে দেশটিতে ১৬টি চুল্লি বন্ধ করা হয়েছে।
ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টা থেকে বাভারিয়ার ইসার ২ কমপ্লেক্সের চুল্লিটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর সন্ধ্যায় নর্দান এমসল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পশ্চিম নেকারওয়েস্টেইমে কেন্দ্র দুটি বন্ধ করে দেবেন অপারেটররা।
গত বছর জার্মানির উৎপাদিত বিদ্যুতের ৬ শতাংশ এসেছিল এই তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। ১৯৯৭ সালে দেশটির মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুতের হারছিল ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ।
বিপরীতে ২০২২ সালে জার্মানিতে উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ ছিল ৪৬ শতাংশ। যা এক দশকের আগের তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই হারে জার্মানি যদি পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, তাহলে তা চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে।
সূত্র: যুগান্তর
এম ইউ/১৫ এপ্রিল ২০২৩