শিরোনাম ::
ঢাকায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে দেশে বিদেশে সম্পাদক নজরুল মিন্টোর সাক্ষাৎ সিলেটের প্রথম জয়ের দিনে ঢাকার টানা ষষ্ঠ হার কক্সবাজার সৈকতে খুলনার কাউন্সিলর টিপুকে গুলি করে হত্যা, আটক ২ টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩০ হাজার ইয়াবাসহ মাদক বিক্রির নগদ টাকা উদ্ধার রামুতে অটোরিকশার সাথে মিনিট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবক নিহত মাইনাস টু’র আশা জীবনেও পূরণ হবে না জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পেলেন চিত্রনায়িকা নিপুণ থানা থেকে পালানো ওসিকে গ্রেফতারে রেড অ্যালার্ট জারি পেকুয়ায় ২০ বছর গাড়ি চলাচল নেই রব্বত আলী পাড়া সড়কে! যে সংস্কারের পরিকল্পনা আছে সেটুকু এগিয়ে নিয়ে আমরা বিদায় নেব
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পাকিস্তানে ১৯৬৫ সালের পর সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩


ইসলামাবাদ, ০১ এপ্রিল – ভোক্তা মূল্য সূচকে (সিপিআই) পরিমাপ করা পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে। দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তীব্র বৃদ্ধির কারণে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

শনিবার প্রকাশিত দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে। এক মাস থেকে অন্য মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৩.৭২ শতাংশ, যেখানে গত বছরের গড় মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ২৭.২৬ শতাংশ৷

জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৫ সালের জুলাই থেকে তথ্য সংরক্ষণ শুরুর পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে। এর আগে, ১৯৭৫ সালের এপ্রিলে দেশটির মূল্যস্ফীতি ২৯ শতাংশের সামান্য বেশি রেকর্ড করা হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মাসিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

জিও নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বাদ দিয়ে গণনা করা মূল মূল্যস্ফীতিও গত মাসে শহরাঞ্চলে ১৭ দশমিক ১ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ২১ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, বেশিরভাগ পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তানের আর্থিক অব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনীতিকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী শক্তি সংকট এবং বিধ্বংসী বন্যার কারণে ২০২২ সালে দেশের এক তৃতীয়াংশ জলমগ্ন হয়। পরিস্থিতি সেইসময় থেকে আরো খারাপ হয়েছে।

বর্তমানে দেশটির যা ঋণ, এর ফলে তাদের কোটি কোটি ডলার অর্থায়নের প্রয়োজন। এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে এবং পাকিস্তানি রুপির মান কমে গিয়েছে। দরিদ্র পাকিস্তানিরা এই অর্থনৈতিক অস্থিরতার শিকার। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কমাতে সরকার-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে আটা-ময়দা বিতরণের কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। রমজান মাস শুরু হওয়ার পর থেকে খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে ভিড়ে পিষ্ট হয়ে অন্তত ২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

করাচির অর্থনৈতিক বিশ্লেষক শাহিদা উইজারাতের বরাত দিয়ে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি বা মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, আমি মনে করি দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে ২২ কোটির বেশি মানুষের বসবাস। ঋণের গভীরে ডুবে থাকা পাকিস্তানকে চাঙ্গা করতে কঠোর কর সংস্কার প্রয়োজন। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল জানিয়েছে, তাদের থেকে ৬৫ কোটি ডলারের সাহায্য পেতে গেলে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপে কিছু লক্ষ্য পূরণ করতে হবে পাকিস্তানকে।

দেশটির অর্থমন্ত্রণালয় বলেছে, অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের আপেক্ষিক চাহিদা এবং সরবরাহের ব্যবধান, বিনিময় হারের মূল্যহ্রাস এবং সম্প্রতি পেট্রোল ও ডিজেলের নিয়ন্ত্রিত দামের ঊর্ধ্বমুখী সমন্বয়ের ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক মুখপাত্র বলেন, বৃদ্ধির এই হার সত্তর দশকে মাসিক রেকর্ড ব্যুরো শুরু হওয়ার পর সর্বোচ্চ। এটি আমাদের তরফে নথিভুক্ত হওয়া সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি। বিদেশি ঋণের বোঝা, মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্যসংকটের ভারে ঝুঁকে পড়া দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও মারাত্মক হারে বেড়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০১ এপ্রিল ২০২৩


আরো খবর: