ইসলামাবাদ, ১৩ মে – পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নাটকীয়ভাবে গ্রেফতার করা হলেও পরে জামিন পেয়েছেন। যদিও তাকে গ্রেফতারের পর উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো পাকিস্তান। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরাসরি ক্ষমতা গ্রহণের কোনো ইচ্ছে বা পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ বিভাগের (ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন- আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এমনটাই জানিয়েছেন। খবর জিও নিউজের।
এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই শীর্ষ মুখপাত্র জানান, ‘একদম স্পষ্টভাবে বলতে চাই, জেনারেল আসিম মুনির (পাকিস্তানের সেনাপ্রধান) এবং সামরিক বাহিনীর অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সম্পূর্ণভাবে গণতন্ত্রের ওপর আস্থাশীল এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সর্বান্তকরণে সমর্থন করেন। সুতরাং সেনা বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এসব একেবারেই অবান্তর কথাবার্তা।’
গতকাল ইসলামাবাদ হাই কোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ ইমরান খানের দুই সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। আপাতত ইমরানকে ১৫ দিনের সুরক্ষামূলক জামিন দেওয়া হয়েছে এবং ৯ মের পর দায়ের করা কোনো মামলায় বুধবার পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে, ফের গ্রেফতার করার আশঙ্কা থেকে কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান খান। পুনরায় গ্রেফতার করা হলে দেশজুড়ে অস্থিরতার সতর্ক করেন তিনি। ইমরান বলেন, ‘আমি ১০০ ভাগ নিশ্চিত যে, আমাকে গ্রেফতার করা হবে।’ তবে পুনরায় গ্রেফতার করা হলে দেশজুড়ে তিনি অস্থিরতার হুঁশিয়ারি দেন।
এর আগে, মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকেই ইমরান খানকে গ্রেফতার করেন এনএবির সদস্যরা। এতে রেঞ্জার্স সদস্যদের সহায়তা নিয়েছিলেন তারা। ইমরানকে গ্রেফতারের পর পাকিস্তানজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ হয়। এতে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন।
সূত্র: বিডি-প্রতিদিন
আইএ/ ১৩ মে ২০২৩