রতন কান্তি দে উখিয়া::
ক্ষমতার স্বাদ ও জয়ের ক্যারিয়ার ধরে রাখতে নির্বাচনী মাঠের রনকৌশল পাল্টিয়ে চমক দিচ্ছেন নৌকার প্রার্থী শাহিন আক্তারের স্বামী সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদি। দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে একটি কথা প্রচলিত আছে সেটি হল ভোটের রাজনীতিতে আবদুর রহমান বদি মানেই অজেয়! তিনি প্রার্থী হলে ওখানে আর কারও জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনটিতে গেলবার নৌকার টিকেটে এমপি হয়েছেন আবদুর রহমান বদির সহধর্মিনী গৃহিণী শাহীন আক্তার। যিনি এমপি হওয়ার আগে কোনো ধরনের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্তই ছিল না। কিন্তু নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী শাহীন চৌধুরীর পক্ষে আবদুর রহমান বদির শক্ত মনোবল, বহুমাত্রিক পদচারণা,সাধারণ আমজনতার সাথে মিশে যাওয়া তাদের উদার হস্তে সাহায্য সহযোগিতা করা ও রাজনৈতিক কারিশমার কারণে জেলা বিএনপির।
সভাপতি ও চার চার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর মতো হেভিওয়েট প্রার্থীকে পরাজিত করে ঠিকই বিজয় চিনিয়ে নেন শাহিন আক্তার। এবারও নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন তিনিই। এবারও তাই সবাই ধরে নিয়েছেন হাজার বির্তক পরও জনপ্রিয়তায় অপ্রতিরোধ্য বদির প্রভাব ও পরিচিতি খাটিয়ে জয়ের মালা আবারও শাহীন আক্তারের গলায় পড়বে।তবে সেক্ষেত্রে ভোটে জয়-পরাজয়ের নির্ধারণ হবে উখিয়া উপজেলা ভোটারদের ম্যান্ডেটের উপর।
স্থানীয় রাজনৈতিক সচেতনদের মতে, দীর্ঘ ৩ যুগেরও বেশি সময় ধরে উখিয়া-টেকনাফের ভোটের মাঠে বদি পরিবারের রাজত্ব চলছে। আবদুর রহমান বদির পিতা মরহুম এজাহার মিয়া কোম্পানি একাধিক বার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও নির্বাচিত হয়ে ছিলেন টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও। ভোটের রাজনীতিতে এজাহার মিয়া কোম্পানি কখনও পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেননি।
এছাড়াও ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীকে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলিকে ও ২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীকে উখিয়া-টেকনাফ আসনের এমপি নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে নেপথ্যে মুখ্য ভূমিকা পালন করে ছিল এজাহার মিয়া কোম্পানি।
এজাহার মিয়া কোম্পানির বড় পুত্র আবদুর রহমান বদি সরাসরি ভোটের রাজনীতিতে আসার পর তিনি টেকনাফ পৌরসভার প্রথম প্রশাসক ও প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা ২বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বদি। তিনি তার চাচা মো: ইসলামকে টেকনাফ পৌর সভার মেয়র,তার ছোট ভাই মুজিব রহমানকে টেকনাফ পৌর কাউন্সিল, তার শ্যালক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীকে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,
তার সম্বন্ধি অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরীকে জেলা পরিষদের সদস্য ও তার চাচা শ্বশুর অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীকে উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।এছাড়াও বদির পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন। টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বদি তার রাজনৈতিক জীবনে ভোটের লড়াইয়ে এখনো হার মানেননি।
দুদুক এর একটি মামলায় ৩ বছর সাজা হওয়ায় আইনি জটিলতায় পড়ে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন অংশ নিতে পারেননি আবদুর রহমান বদি। কিন্তু থেমে থাকেনি আবদুর রহমান বদির রাজনৈতিক ম্যাজিক। রাজনীতির মাঠে অখ্যাত ও অপরিচিত এবং ১০০% গৃহিণী তার স্ত্রী শাহিন আক্তারকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ও নৌকা প্রতীক পায়ে দিয়ে চমকে দেন সবাইকে। তখন নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী শাহীন চৌধুরীর পক্ষে আবদুর রহমান বদির দৃঢ়চেতা মনোবল, বহুমাত্রিক পদচারণা, রাজনৈতিক কারিশমা, কৌশল ও ম্যাজিকের কারণে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন শাহিন আক্তার।
প্রথম বারের মতো উখিয়া-টেকনাফবাসী পান একজন নির্বাচিত নারী এমপি। তবে শাহীন আক্তার এমপি হিসেবে কোন চমক বা সফলতা দেখাতে পারেননি। বলতে গেলে পুরো ৫ বছরই তিনি এলাকায় অনুপস্থিত ছিলেন। ছিল না তার কোনো জনসম্পৃক্ততা। তার অনুপস্থিতে পুরো ৫ বছরই এলাকার সব কিছুই দেখভাল করে গেছেন শাহীন আক্তারের স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ১১ জন হেভিওয়েট নেতা দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ছিলেন। ২০১৮ সালের মতো এবারও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি দলীয় মনোনয়ন পাননি আইনি জটিলতার কারণে। তাই এবার সবার ধারণা ছিল নতুন কোনো প্রার্থীই পাবেন নৌকা প্রতীক। কিন্তু এবারও নতুন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বাধা হয়ে দাড়ালেন সেই আবদুর রহমান বদি। তার এক বিলকিতে বা ধাক্কায় কপোকাৎ হয়ে গেছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল নেতাই। ফলে এবারও নৌকার মাঝি হয়ে এসে ভোট যুদ্ধে চষে বেড়াচ্ছেন আবদুর রহমান বদি ও স্ত্রী শাহিন আক্তার।
এদিকে খালি মাঠেই গোল দেবেন শাহিন আক্তার ? বিষয়টা একেবারে তা না। এই আসনে এবার তারপ্রতিদ্বন্ধিতায় প্রচার, প্রচারণা, গণসংযোগ,পথসভা মহিলা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন আরও ৬ প্রার্থী।এরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল বশর (ঈগল), জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন চৌধুরি ভুট্টো (লাঙল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুল আলম (আম), তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব (সোনালী আঁশ), ইসলামি ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরি (মিনার), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইল (ডাব)।
তবে শাহীন আক্তার ছাড়া নির্বাচনের দৌড়ে
থাকা ৬ জনের মধ্যে ৫ জনেরই তেমন কোন এলাকায় পরিচিতি নেই। বরং অখ্যাত রাজনৈতিক দলের প্রাথী হয়ে তারা মাঠে আছেন।এদের মধ্যে ইসলামি ঐক্যজোটের প্রার্থী নিজেদের রাজনৈতিক পরিচিতির কারণে কিছুটা ভোটের ময়দানে থাকতে পারলেও অন্য কারো ভোটের মাঠে প্রভাব ফেলার মতো কোন সম্ভাবনা নেই। নতুন রাজনৈতিক দল, যাকে ‘কিংস পার্টি’ বলে পরিচয় পেয়েছে, সেই তৃণমূল বিএনপির মাঠে কোন নেতা-কর্মী কিংবা সাংগঠনিক ভিত্তি নেই বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
এছাড়াও জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টোর একসময়ের কলেজ শিক্ষক হিসেবে কিছুটা পরিচিতি থাকলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে তেমন কোনো প্রভাব না থাকলেও প্রচার-প্রচারণা ও গণসংয়োগে পিছিয়ে নেই । লাঙ্গল নিয়ে মাতিয়ে তুলছেন বিশেষ করে উখিয়া উপজেলায়। তার আত্মীয়-স্বজনের পাল্লা ভারী এদের উপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এছাড়াও এনপিপির ফরিদ আলম,তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব,বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইলেরপরিচিতি তো না-ই, গুগলে সার্চ দিয়েও তাদেরএকটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায় না। এই ৫ প্রার্থীর সব ভোট কেন্দ্রের এজেন্ট দেওয়াও সক্ষমতা নেই।
উচ্চ আদালতে রায় নিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া কক্সবাজার-০৪ ( উখিয়া টেকনাফ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর এর ঈগল পাখি নিস্তেজ নির্বাচনে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস ( জাগ্রত করলেও) দিলেও, নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী শাহীন চৌধুরীর পক্ষে হাজার বির্তক থাকার পরও জনপ্রিয়তায় অপ্রতিরোধ্য আবদুর রহমান বদি থাকার কারণে তিনিও (নুরুল বশর) হালে পানি পাচ্ছেনা বলে স্থানীয় সচেতন মহলের ধারণা। তবে শেষ পর্যন্ত বিনা চ্যালেঞ্জে ফসল ঘরে তোলার সমীকরণ এতো সোজা হবে না বলে মনে করেন আবার অনেকেই। সুষ্ঠু নির্বাচনে উখিয়া উপজেলা থেকে যিনি বেশি ভোট পাবেন, তিনিই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে মনে করছেন তারা।
এই ৬ প্রার্থীদের প্রতিপক্ষ নিয়ে ভোটের মাঠে লড়ছেন ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত আবদুর রহমান বদির সহধর্মিনী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার। আবদুর রহমান বদি ও শাহিন আক্তার এর বিরোধীরা একাট্টা হওয়ায় নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে শাহিন আক্তার (নৌকা) ও নুরুল বশর (ঈগল) এর মধ্যে। কারণ মো. নুরুল বশরের রাজনৈতিক পরিচিতি বেশ সমৃদ্ধ। তিনি টেকনাফ উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে তিনি টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তার ছোট ভাই উপজেলা যুব লীগের সভাপতি নুরুল আলম বর্তমানে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ইতিপূর্বে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাছাড়াও বদির পিতা এজাহার মিয়া ও নুরুল বশরের পিতা মো: শফি তারা ২ যুগ যুগ ধরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এদিকে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগসহ মূল অঙ্গসংগঠন গুলো স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল বশরের পক্ষে কাজ করছে।মূলত উখিয়া-টেকনাফ আসনে এবার মূল লড়াই হবে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ।
স্থানীয় ভোটারদের মতে, নুরুল বশর ছাড়া যে সব প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন তারা প্রার্থী হিসেবেপ্রতিদ্বন্ধিতায় শাহীন আক্তারের ধারেকাছে ও যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সেই হিসেবে বিবেচনাকরলে শাহীন আক্তার ধরেই নিতে পারেন আগামীবারেরও সংসদ সদস্য তিনিই। বরং কত বেশি ভোটে তিনি বিজয়ী হয়ে আসছেন সেটি এখন দেখার বিষয়।তবে এমপি হিসেবে শাহীন আক্তারের সাধারণমানুষের কাছে তেমন কোন গ্রহণযোগ্য নেই।তিনি বরং এমপি হয়েছেন আবদুর রহমান বদির কারণেই। এবারও তিনি সহজে ভোটের মাঠের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তা হবে কেবলস্বামী বদির মাঠ পর্যায়ের জনপ্রিয়তার জন্যই।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে গা ছাড়া দিয়ে রণকৌশল পাল্টে ভিন্ন মাত্রায় নির্বাচন করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নিরব শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতাদের নৌকার পক্ষে সরব করে মাঠে নামিয়েছেন। এদের মধ্যে জেলা
যুবলীগের সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা এবং সাবেক এমএনএ মরহুম এডভোকেট নূর
আহমদ মিয়ার বড় ছেলে সোহেল আহমদ বাহাদুর ও
জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা এইচএম ইউনুস বাঙালি গতকাল সোমবার থেকে
পথসভা, কর্মীসভা এবং পাড়া মহল্লায় গণসংযোগ শুরু করেন।
টেকনাফে নির্বাচনের শুরু থেকে ঈগল প্রতীকের পক্ষে
কিছুটা জোয়ার উঠলেও দৃশ্যপট পাল্টে এখন আবার নৌকার পাল্লা ভারী হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা। অপরদিকে উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা জানিয়েছেন নৌকা বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন উখিয়া উপজেলায়।এখানে প্রতিদিন নৌকার পক্ষে জালিয়া পালং, হলদিয়া পালং,রত্নাপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া মহল্লায় এবং স্টেশন সমূহে সাধারণ মানুষের ও মহিলাদের ব্যাপক উপস্থিতিতে পাঁচ-ছয়টি করে পথসভা উঠান বৈঠক ও মহিলা সমাবেশ চলছে।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী,জানানএইজনপদে নৌকার পক্ষে ভোট উৎসব চলছে। বিগত পনের বছরে এমন কোন রাস্তাঘাট এবং শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। অত্র উপজেলায় বর্তমান এমপি শাহীন আক্তারের নৌকা প্রতীক স্মরণকালের রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়ে জয়ের পথ সুনিশ্চিত হবে। নির্বাচনের এসব সমীকরণে দেখা যায় আব্দুর রহমান বদির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার জয়ের দ্বারা অক্কুন্ন থাকবে।