শিরোনাম ::
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

নির্বাচনী লড়াইয়ে শেষ হাসি চাচা না ভাতিজার

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ৬ মে, ২০২৪

কুতুবদিয়ায় ৮ মে বুধবার অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চাচা-ভাতিজার লড়াই বেশ জমে উঠেছে। নির্বাচনী লড়াইয়ে শেষ হাসি চাচা না ভাতিজা হাসবে এ নিয়ে ছয় ইউনিয়নে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তিন জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর (মোটরসাইকেল) বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন তাঁরই ভাতিজা ব্যারিস্টার হানিফ বিন কাশেম (ঘোড়া) । অন্যদিকে, আসহাব উদ্দীন (অনারস) প্রার্থী হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এই চাচা-ভাতিজার মধ্যে এমনটি ধারণা করেছেন ভোটাররা।

এদিকে, গত ৪ এপ্রিল চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে যাওয়ায় তাকে ছাড়াই প্রচারণা চালাচ্ছেন তার সমর্থকরা। এজন্য কিছুটা প্রভাব পড়েছে নির্বাচনী মাঠে। তবে তাঁর অনুপস্থিতিতেও মাইকিংসহ প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে। এবারও তার জয়ের ব্যাপারে পুরোপুরি আশাবাদী কর্মী-সমর্থকরা।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার হানিফ বিন কাশেম চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ভোট সুষ্ঠু হলে তার বিজয় ঠেকানো যাবে না।

ভোটারদের ভাষ্য, চাচা-ভাতিজা দু’জন প্রার্থী হওয়ায় তারা কাকে ভোট দেবেন, এ নিয়ে পড়েছেন বিড়ম্বনায়। আত্মীয় স্বজনরাও রয়েছে চিন্তায়। তবে নির্বাচন পর্যন্ত ভোটারদের কাছে চাচা-ভাতিজার নির্বাচনী লড়াই বেশ উপভোগ্য হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাচা-ভাতিজাসহ অন্য প্রার্থীরা ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভোটারদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার কমতি নেই যেন। সকাল থেকে মধ্যে রাত পর্যন্ত চলছে প্রচার-প্রচারণা। গ্রাম-মহল্লায়, হাটবাজার সবখানেই ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছে কর্মীরা। শুধু আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিবেচনায় নয়, ব্যক্তি পরিচয়ে প্রার্থীরা ভোট পাবেন বলে মনে করছেন ভোটাররা।

নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট কেন্দ্র ৩৭ টি মোট ভোটার ৯৭ হাজার ১৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১ হাজার ৫৬৯ জন,মহিলা ৪৫ হাজার ৬০১ জন। এখানে ৫৪টি ওয়ার্ডের ৩৭টি কেন্দ্রে ২শ ৯৮টি ভোটিং বুথের জন্য প্রায় ২শ ৯২টি ইভিএম ভোটিং মেশিন থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে অতিরিক্ত ৪ অথবা ৫টি ইভিএম মেশিন রাখা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন ১ জন করে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৩৭ জন,২শ ৫৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও তাদের সাথে সহযোগিতা করতে সর্বমোট ৫১৬ জন পুলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। তবে, ইভিএম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রে বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই বলেও জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রিটানিং অফিসার মো: নুরুল ইসলাম জানান, উপজেলার ৩৭টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট প্রয়োগ করতে পারবে বলে তিনি জানান।


আরো খবর: