নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন(নাসিক) নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে পরাজিত করেছেন তিনি। এ নিয়ে টানা তৃতীয়বার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলেন আইভী।
রোববার(১৬ জানুয়ারি) ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর এগিয়ে থাকার খবর আসতে থাকে। রাতের দিকে ডিসি অফিসের সামনে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা যখন ফল ঘোষণা করছিলেন, তখন রাস্তায় উচ্ছ্বসিত হাজারো মানুষ ‘আইভী’ আর ‘নৌকা নৌকা’ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
১৯২টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট আর স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এক লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭০ শতাংশ।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসাবে সেলিনা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোটে আবার নির্বাচিত হন। সেবার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট। ওই সময়ে ভোট পড়েছিল ৬২ শতাংশ।
এবার ব্যতিক্রমী একটি নির্বাচন দেখছেন নারায়ণগঞ্জবাসী। এ নির্বাচনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচনী কোনো ইশতেহার ঘোষণা করেননি। তারা প্রচারের সময়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে মৌখিক নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যমুনা অনলাইন