কক্সবাজারের নাফনদীতে ৯ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে ১৪ আগ্নয়াস্ত্র, ৪৮৬ রাউন্ড গুলি, ২০ হাজার ইয়াবাসহ সশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১ টা থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চালানো হয় রাত ১০ টা পর্যন্ত। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ২ টায় কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশনের আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং করা হয়।
ব্রিফিং এ অভিযানের বিস্তারিত জানান কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোঃ মহিউদ্দিন জামান।
আটক ৬ জন হলেন, টেকনাফের ঠ্যাংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হোসেন আহমেদের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম (২৩), একই ক্যাম্পের সুলতান আহমেদের ছেলে মোঃ আরিফি (৩৩), নুর হাকিমের ছেলে মোঃ মাহমুদুর রহমান (১৮), উনচিপ্রাং ক্যাম্পের নুরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আমিন (৩৩), একই ক্যাম্পের হাশেমের ছেলে মোঃ কানিজ (২৪)ও উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পের সৈয়দ আহমেদের ছেলে মোঃ নবী হোসেন (২৮)।
অভিযানে উদ্ধার হয়েছে, বিদেশী পিস্তল ২টি, একনলা বন্দুক ৩টি, এলজি ২টি, শর্ট গান ১টি, দেশী পিস্তল ৬টি, পিস্তলের ম্যাগাজিন ৪টি, তাজা গোলা ৪৫০ রাউন্ড, ফাঁকা গোলা ৩৯ রাউন্ড, রামদা ৪ টি, ইয়ারা ২০ হাজার, বিদেশী মদ ২১ বোতল, বিয়ার ৫৫১ ক্যান, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত পোষাক ৭ সেট, হ্যান্ডকাফ ১টি, ল্যান্ড ফোন ১টি, বাটন মোবাইল ৪ টি।
ব্রিফিং কালে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মহিউদ্দিন জামান জানিয়েছেন, শাহপরীদ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের নাফ নদীর মোহনায় একটি সক্রিয় অস্ত্রধারী ডাকাতদল ফিশিং বোটে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার খবর পেয়ে এ অভিযান শুরু করা হয়।
অভিযানে কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল তাদের বোট নিয়ে নাফনদীর মোহনা হতে টেকনাফের দিকে দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশনের সদস্যরা ডাকাত দলকে ধরতে ধাওয়া করতে থাকে। এর মধ্যে টেকনাফ স্টেশনের সদস্যরা অভিযানে যোগ দেয়। এসময় ডাকাতদের বোটটি টেকনাফের রঙ্গিখালীর নিকটবর্তী নাফনদীর খড়ের দ্বীপে ডাকাত সদস্যদেরকে নামিয়ে দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলে যায়। ডাকাত সদস্যরা দ্বীপের বনের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে।
তিনি জানান, পরে কোস্টগার্ড স্টেশান টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের আভিযানিক দল দুটি যৌথভাবে দ্বীপটি ঘিরে ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে আটক করে। এসময় উদ্ধার করা হয় ১৪ আগ্নয়াস্ত্র, ৪৮৬ রাউন্ড গুলি, ২০ হাজার ইয়াবা।
এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা। ব্রিফিং কালে কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম এম হারুন অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।