নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কূরিক্ষ্যং এ শূকরের হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক ঝাড়ু কাটুরিয়া। নিহতের নাম আবুল বশর(৪০)। সে পার্শ্ববতী রামুর কচ্ছপিয়ার দক্ষিন মৌলভীকাটার পাহাড়পাড়া গ্রামের মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র। বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের শূকরের ঝিরিতে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ ইউনুছ জানান,স্থানীয় কয়েকজন লোকের সহায়তায় নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার কিছু হরিণ শিকারী কূরিক্ষ্যং -ভাইচাং ত্রিপুরা পাড়ার মাইল দু’এক পূর্ব দিকের গহীন বনে শিকারের জাল বসান। এভাবে ২/৩ দিন ধরে চেষ্টা করেও শিকারে বিফল হয়ে ফিরে আসার সময় শূকর ঝিরিতে নেমে পড়ে তারা। সে জাল বসান ৯ সদস্যের দলটি। বিধি এখানেও বাম। জালে পড়ে হরিনের বদলে বন্য শুকর।
অপর আরো কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান,শিকারীরা বসানো জালে টার্গেটের হরিণগুলো ফাঁদে ফেলতে না পারলেও জালে আটকে যায় এক আস্তাবড় বন্য শূকর। যেটা দেখে শিকারীরা হতাশ হলেও পরে এ শুকরটি ধরে নিয়ে উপজাতিদের বিক্রি করবে ভেবে সেটিই আটকাতে চেষ্ঠাকালে উল্টো শুকরটিই হামলা করে আবুল বশরকে। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার নবাগত অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) টানটু সাহা বলেন, শুকরের হামলায় বশর মারা যান ময়না তদন্তের রির্পোটের পর বোঝা যাবে। তবে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে তার লাশ জেলা শহরে পাঠানো হবে বৃহস্পতিবার সকালে। শুক্রবারে রাতে পরিবারের হাতে লাশটি সোপর্দ করা হবে।