শিরোনাম ::
পেকুয়ায় হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো সেনা-বিজিপি সদস্যসহ ৪০ জনকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ পেকুয়ায় মায়ের সামনে ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে অবহেলায় হাতি শাবকের মৃত্যু : ময়নাতদন্তের পর মাটি চাপা সাগরপথে মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সারসহ ট্রলার জব্দ, আটক ১০ জন বিএনপি অফিস নিয়ে ভুল উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমার ব্যাখ্যা ও বিএনপিসহ সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ কক্সবাজারে নিখোঁজ সিলেটের ৬ শ্রমিক উদ্ধার চকরিয়ায় দিনেদুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি পুড়ে ছাই মহেশখালী নৌপথে সি-ট্রাকের যাত্রীর ভাড়া ও সি-ট্রাক চলাচলে সময়সূচি চূড়ান্ত,আনন্দে উচ্ছ্বসিত দ্বীপবাসী
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের দু’বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি, সতর্ক বিজিবি

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের ওপারে ছালিদং পাহাড়ি এলাকাজুড়ে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী ও সে দেশের স্বশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ঘন্টা ব্যাপী গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় ২০ জনের হতাহতের খবর পাওয়া গেলেও তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায় নি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৭ টা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা।

বিজিবি জানান,এ ঘটনার পর থেকে সীমান্তে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন ।

এ দিকে সীমান্তের লোকজন জানান,শুক্রবার সকালে অনেকে তখনও বিছানা ছিলেন।আবার অনেকেই ঘুমে। কিন্তু হঠাৎ সীমান্ত থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনে তাদের এ ঘুম ভাঙ্গে।
বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেষা চেরারকূলের দিদারুল আলম,আমতলীর ফরিদুল আলম,৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার ফরিদুল আলম ও চাকঢালা মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মৌলানা জাফর আলম বলেন,সকাল ৭ টা থেকে প্রচন্ড গোলাগুলির আওয়াজ শুনেন তারা । যাতে তাদের কান ভারী হয়ে যায় এমন অবস্থা। এরপরপর তারা বাড়ি থেকে বের হয়ে জানতে পারেন সীমান্তেই এ গোলাগুলি হচ্ছে। বিশেষ করে ৪৪ নম্বর সীমান্ত খুটির ১ কিলোমিটার পূর্বে বাংলাদেশের অংশের বড়ছনখোলা-ভেতরের ছড়ার বিপরীতে মিয়ানমারের ছালিদং গ্রামে এ ঘটনা ঘটছে।

ওই এলাকার একাধিক সীমান্তবাসী জানান,তারা নানা ভাবে জেনেছেন ঘটনায় অন্তত: ২০ জন লোক হতাহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। তবে কোন দায়িত্বশীল সূত্র হতাহতের নাম ঠিকানা জানাতে পারেননি এ প্রতিবেদককে।

তবে সীমান্তের এ পয়েন্টের অধিবাসী নাইক্ষ্যছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ফরিদুল আলম জানান,যেভাবে ফায়ারিং এর ঘটনা ঘটেছে,তাতে বড় কিছু ঘটেছে। সীমান্তের বাংলাদেশী লোকজন আতংকিত হয়ে পড়লেও বিজিবির টহল জোরদার করায় লোকজনের আতংক কেটে যায়।
তিনি আরো জানান,গোলাগুলির ঘটনা হয়তো বা মিয়ানমারের সরকারী বাহিনীর সাথে তাদের দেশের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষ হয়েছে। যা মাঝে মধ্যে হলেও শুক্রবারের যুদ্ধটি ছিল অনেক দীর্ঘ সময় ধরে। আর ভারী অস্ত্রের।

এ সীমান্তে দায়িত্বরত ১১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র অধিনায়ক লে: কর্ণেল নাহিদ হোসেন জানান গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে মিয়ানমারের অংশে। যা নিজেদের মধ্যকার বিষয় বলে জানতে পেরেছেন তিনি। তবু তিনি সীমান্তের তার অধীনস্ত অংশ জুড়ে বিজিবি জোয়ানদের সর্বোচ্চ সতর্ক রেখেছেন। আর সার্বিক পরিস্থিতি পযর্বেক্ষেণ করছেন।

অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেন কী কারনে কারা এ সংঘর্ষ করেছে তারা নিশ্চিত বলতে পারেননি। আর হতাহতের বিষয়টিও তার জ্ঞাত নয় বলে জানান এ প্রতিবেদককে।


আরো খবর: