ইমরান আল মাহমুদ,উখিয়া:
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে স্বেচ্ছায় ভাসানচর স্থানান্তরে রাজি হওয়া রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর প্রক্রিয়ার নবম দফায় রওনা দিয়েছে ৭শ ৫জন রোহিঙ্গা।
বুধবার(৫ জানুয়ারি) দুপুরে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প হতে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ৮টি বাসের সাথে এক্সট্রা বাস,এ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশী নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
বিকেলে ২য় পর্যায়ে ৮টি বাসে ২৯১জন রোহিঙ্গা নিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছে। বহরের সাথে এক্সট্রা বাস,এ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশের নিরাপত্তা গাড়িও রয়েছে। বহরের সাথে রোহিঙ্গাদের মালামাল বোঝাই ৪টি কাভার্ড ভ্যানও রওনা হয়।
নবম ধাপে ১৬টি বাসে ৭০৫জন রোহিঙ্গা শরণার্থী রওনা হয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছে। সকালে তাদেরকে চট্টগ্রাম থেকে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা যায়।
রোহিঙ্গাদের বিশাল বহরের সামনে ও পেছনে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। নবম দফার প্রথম পর্যায়ে স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেছেন রোহিঙ্গারা।
বিভিন্ন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মাঝিরা জানান, স্বেচ্ছায় রাজি হয়ে রোহিঙ্গারা ভাসানচর গিয়ে সেখানকার পরিবেশ, থাকা খাওয়ার সুবিধা উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জানালে যারা যেতে রাজি হয়েছে তাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে ভাসানচর স্থানান্তর করা হচ্ছে।
স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে রাজি হওয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রথমে উখিয়া কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। পরে সব প্রক্রিয়া শেষে প্রটোকলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে জাহাজে করে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে দেখা যায়, নিবন্ধনের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় ভাসানচর স্থানান্তরে রাজি হওয়া রোহিঙ্গারা তাদের আত্নীয় স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছেন। এসব রোহিঙ্গাদের মাঝে আবেগঘন মুহুর্ত লক্ষ্য করা যায়। তারা একে অপরের সাথে বিদায়ী কুশল বিনিময় করেন। আবার অনেকে ভাসানচর যেতে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যায়।