বলরাম দাশ অনুপম::
মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে শেখ হাসিনার সরকার ‘ঘর নাই বাড়ি নাই’ এমন পরিবারগুলোকে মাথা গুঁজার ঠাঁই করে দিতে দেশব্যাপী গৃহহীনদের জমিসহ গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার প্রকল্প হাতে নেয়।
এই প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার সদর উপজেলায় নতুন করে আরও ১০৩ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার জমিসহ নতুন বাড়ি পাচ্ছেন। প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, প্রতিটি ঘর নির্মিত হচ্ছে ২ শতক জমিতে। ১০৩ গৃহহীন পরিবারের জন্য ২০৬ শতক জমিতে নির্মিত হচ্ছে পাকা ঘর। দুই রুমের পাকা ঘরের সাথে রান্নাঘর, বাথরুম ও একটি বারান্দা থাকবে।
প্রত্যেক ঘরে ঘরে জ্বলবে বিদ্যুতের আলো। পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি খাবার জন্য রয়েছে টিউবয়েল-এর ব্যবস্থা। আগামী ২৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ে জমি এবং গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে গৃহহীন পরিবারগুলোকে ঘরগুলো বুঝিয়ে দেবেন কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায়। তিনি জানান, ঘরগুলো নির্ধারিত ডিজাইন অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পিআইসির সার্বক্ষনিক তদারকির মাধ্যমে সুদক্ষ কারিগর দ্বারা সুচারুরুপে সম্পন্ন করা হচ্ছে। প্রতিটি উপকারভোগির জীবন বদলে যাওয়ার এ গল্পের রূপকার প্রধানমন্ত্রী আর এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন মনিটরিং ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসকসহ জেলা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর ইউএনও মিল্টন রায় জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলায় হালনাগাদকৃত ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা (‘ক’ শ্রেণী) ১ হাজার ৫৯। এরমধ্যে ২০২০-২১ অর্থ বছরে নির্মিত হয়েছে ১৪৮টি গৃহ এবং ২০২১-২২ অর্থ বছরে নির্মানাধীন গৃহের সংখ্যা ২৭০টি। তাছাড়া চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে ৬৪১টি গৃহ নির্মাণ কাজ।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় জানান, মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর পেয়ে মহাখুশি উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন অতিদরিদ্র মানুষরা। প্রেস ব্রিফিংকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জিল্লুর রহমানসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।