আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজারের পেকুয়ায় দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি শাফায়েত আজিজ রাজু। বৃহস্পতিবার (২ মে) প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে তাকে কারণ দর্শানোর এক চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান সরকারের অধীনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। বিএনপির যেকোন নেতাকর্মী এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা হবে সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। এর প্রেক্ষিতে শাফায়েত আজিজ রাজুকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে আরও বলা হয়, দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা তা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এব্যাপারে শাফায়েত আজিজ রাজু জানায়, পেকুয়ার জনগণ আমাকে তাঁদের অভিভাবক হিসেবে চায়। আমার কাছে দলের চেয়ে জনগণের চাওয়াই বড়। তাই শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। চিঠির জবাব দেওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, যেহেতু কেন্দ্রীয় বিএনপি জবাব চেয়েছে আমি লিখিতভাবে আমার মতো করে ব্যাখ্যা দিব। দল যদি আমাকে নির্বাচন করার কারণে বহিষ্কার করে তা আমি মাথা পেতে নেব।
আগামী ২১ মে পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে শাফায়েত আজিজ রাজু ছাড়াও চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট প্রার্থী হয়েছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু শাফায়েত আজিজ রাজু তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি। উল্টো বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দের পর ঘোড়া মার্কা নিয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন বিএনপির এ নেতা।
উল্লেখ্য বিএনপির সমর্থন নিয়ে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে টানা দুইবার পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন শাফায়েত আজিজ রাজু। ২০১৯ সালের বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলে তিনিও সেবার প্রার্থী হননি।