ব্যাংকক, ১৮ জুন – থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে সমলিঙ্গ বিয়ের অনুমতিসংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রথম কোনো দেশের পার্লামেন্ট এই অনুমোদন দিল।
দুই দশকেরও বেশি সময় আগে এলজিবিটি অধিকারকর্মী এবং রাজনীতিবিদদের প্রচেষ্টায় বিলটি পার্লামেন্টে আনা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় এতদিন বিলটি পাস হয়নি। তবে এর আগে পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষ রাথাসাফায় (জাতীয় পরিষদ) পাস হয়েছিল বিলটি।
এখন সিনেট থেকে সেটি পাঠানো হবে থাই রাজার দরবারে। রাজা অনুমোদন দিলেই আইনে পরিণত হবে বিলটি। আশা করা হচ্ছে, এই বছরের শেষের দিকে প্রথম সমকামী বিয়ে হতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দীর্ঘ দুই দশক পর সিনেটে বিলটি পাস হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সমলিঙ্গের বিয়ের পক্ষে থাকা অধিকারকর্মী এবং রাজনীতিবিদরা। তারা পার্লামেন্ট থেকে সড়ক— সব জায়গায় এলজিবিটির প্রতীক রংধনু পতাকা উড়িয়ে সিনেটের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।
সমলিঙ্গের বিয়ে সংক্রান্ত পার্লামেন্টারি কমিটির সদস্যদের একজন প্লেইফাহ কায়োকা শোদলাদ। তিনি বলেন, ‘আধুনিক যুগে প্রেম-ভালোবাসা কোনো সংস্কার দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। ২০ বছর ধরে আমরা এই কথাটি সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছি এবং আজ সফল হয়েছি।’
এর আগে নেপাল ও তাইওয়ানে সমলিঙ্গের বিয়ের অনুমোদনসংক্রান্ত বিল পার্লামেন্টে পাস হয়েছিল। তাই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রথম হলেও পুরো এশিয়ায় থাইল্যান্ড তৃতীয়।
সূত্র: দেশ রূপান্তর
আইএ/ ১৮ জুন ২০২৪